নিজস্ব প্রতিবেদক
‘নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য, ক্যান্সার ও অধিকার’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা, সূচনায় ক্যান্সার নির্নয় ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে নারীরা অবহেলিত ও বঞ্চিত। চিকিৎসার ক্ষেত্রে নারীদের প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলা, গর্ভবতী নারীর সন্তান রাখা না রাখা, অপারেশনের মাধ্যমে প্রজনন অঙ্গহানির মতো গুরুতর সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর অধিকার অধিকাংশ ক্ষেত্রে লঙ্ঘিত হয়।
বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে শনিবার কমিউনিটি অনকোলজি ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিল বাংলাদেশ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরাম ও মার্চ ফর মাদার।
সভায় মূল আলোচনায় অংশ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনি অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাবেরা খাতুন ও জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের ক্যান্সার ইপিডিমিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) বাংলাদেশ অফিসের প্রধান উপদেষ্টা ইউাক ইউশিমুরা।
অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নাইমা জান্নাত, ক্যান্সার সার্ভাইভার রোকেয়া রুমি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হীলের প্রতিষ্ঠাতা মিসেস জেবুন্নেসা, অপরাজিতার জ্যেষ্ঠ সদস্য হোসনে আরা হান্নান, সাংবাদিক জান্নাতুল এনা, মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল, ক্যাপ-এর উম্মে হানি মেঘলা, কুমিল্লা কমিউনিটি অনকোলজি ফোরামের রুহুল আমিন, জুম বাংলাদেশের কাজী সদরুল ইসলাম, ওয়ারেস আলী প্রমুখ।
বক্তারা নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যের সঙ্গে ক্যান্সারের গভীর সম্পর্ক আছে বলে জানান। জরায়ুমুখের ক্যান্সার, ডিম্বাশয় ক্যান্সার, কোরিওকারসিনোমা, স্তন ক্যান্সার- এর মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য।