ভিটামিন ‘ই’ চুলপড়া ও নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী। ভিটামিন ‘ই’ চুলের ত্বকে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়, যা চুল বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখে এবং শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে এটি চুলপড়া রোধ করে।
একজন কানাডিয়ান চিকিৎসকের চুল ৬৮ বছর বয়সে ধূসর হয়ে যাচ্ছিল, তখন তিনি প্রতিদিন ভিটামিন ‘ই’ খাওয়ার ফলে ধূসর চুল কালো হয়ে গিয়েছিল এবং তা ১৫ বছর ধরে তিনি করেছেন। ভিটামিন ‘ই’ এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেল অপসারণের মাধ্যমে স্কিনকে সুরক্ষিত রাখে।
ভিটামিন ‘ই’ এর অপর একটি সুবিধা হচ্ছে এটি ব্রণের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি হিসেবে কাজ করে। যদিও এটা বলা হয়ে থাকে, ব্রণ সাধারণত স্কিনের ছিদ্রপথে ময়লা জমা বা অতিরিক্ত তৈলাক্ত পদার্থ, যেমন— সেবামের কারণে হয়; কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের অভাবেও ব্রণ হয়।
মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে যে, ভিটামিন ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার অতিরিক্ত তেল নির্গমনের মাধ্যমে স্কিনের রোগ তৈরি করে। এটা মনে রাখতে হবে, ভিটামিন শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
ভিটামিন ‘ই’ একটি শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য এন্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরকে অক্সিডেটিভ ক্ষতির হাত থেকে সুরক্ষিত রাখে। নাশপাতি, বাদাম ও জলপাই তেলে প্রচুর ভিটামিন ‘ই’ থাকে। অন্যদিকে সর্বোৎকৃষ্ট প্রাকৃতিক উৎস হচ্ছে গম, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সবজি, ডিম প্রভৃতি। তাই বেশি করে ভিটামিন ‘ই’সমৃদ্ধ খাবার খান, সুরক্ষিত থাকুন।