,
শিরোনাম:
৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস আখাউড়ায় আওয়ামীলীগের সভাপতিকে মারধোরের ঘটনায় পৌর কাউন্সিল ইব্রাহিমসহ গ্রেপ্তার-৭, মামলা দায়ের ৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস শুভনের জন্মদিনে দোয়া ও খাবার বিতরণ পৌর ছাত্রলীগের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীমানা বিরোধের জেরে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাক চাপায় অ্যাম্বুলেন্স চালক নিহত নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামীলীগের আনন্দ মিছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকারের ইন্তেকাল \ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন  ব্রাহ্মণবাড়িয়া পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য জশনে জুলুস ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দাবী আদায়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি নেতৃবৃন্দের সংবাদ সম্মেলন

আল্লাহ আমাদের বাঁচাতে জেলেদের পাঠিয়েছিল’, বললেন ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে বেঁচে যাওয়া বাংলাদেশি

ডেস্ক রিপোর্ট : আহমেদ বিলালের চোখের সামনেই একে একে ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাচ্ছিল অনেক সহযাত্রী। তার নিজেরও ঠান্ডা পানিতে ডুবে মারার উপক্রম। তারপর একদল জেলে এসে উদ্ধার করলো তাকে।

বিবিসি বাংলা জানায়, তীরে আসার পর একটি বার্তা সংস্থাকে তিনি বলেন, ‘‘আল্লাহ আমাদের বাঁচাতে জেলেদের পাঠিয়েছিলেন’’। এই সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন কীভাবে বাংলাদেশের সিলেট থেকে ইউরোপের পথে শুরু হয়েছিল তার এই বিপদজনক যাত্রা।

আহমেদ বিলাল এখন আছেন তিউনিসিয়ার উপকূলীয় শহর জারজিসে রেড ক্রিসেন্টের একটি আশ্রয় কেন্দ্রে। নিজে বেঁচে গেলেও এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তার দুজন আত্মীয়। তাদের জন্য কান্না থামাতে পারছেন না তিনি।

তাদের নৌকা যখন পানিতে ডুবে গেল, তখন মোট ১৬ জনকে সেখান থেকে জীবিত উদ্ধার করে এই জেলেরা। আহমেদ বিলাল সেই সৌভাগ্যবানদের একজন। কিন্তু আরও প্রায় ৬০ জন পানিতে ডুবে মারা যায়। এদের বেশিরভাগই ছিল বাংলাদেশি।

 

৩০ বছর বয়সী আহমেদ বিলালের বাড়ি বাংলাদেশের সিলেট জেলায়। সেখান থেকে উন্নত জীবনের আশায় তিনি ইউরোপের পথে পাড়ি জমিয়েছিলেন দালালদের মাধ্যমে।

পারিবারিক জমি বিক্রি করে তিনি দালালের হাতে এজন্যে তুলে দেন সাত হাজার মার্কিন ডলারের সমপরিমান অর্থ। এই দালালকে তিনি চেনেন ‘গুডলাক’ ছদ্মনামে।

“এই দালাল আমাকে বলেছিল, আমরা বেশ ভালো জীবনযাপন করতে পারবো। আমরা তাকে বিশ্বাস করেছিলাম।আমি নিশ্চিত যত লোককে সে এভাবে পাঠায়, তাদের বেশিরভাগই মারা যায়।”

ছয় মাস আগে তাদের যাত্রা শুরু হয়। প্রথমে তারা যান দুবাই। সঙ্গে ছিল আরও দুজন। সেখান থেকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে। সেখান থেকে আরেকটি ফ্লাইটে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলিতে।

বিলাল জানান, ত্রিপলিতে আরও প্রায় ৮০ জন বাংলাদেশি তাদের সঙ্গে যোগ দেন। এরপর পশ্চিম লিবিয়ার কোন একটা জায়গায় একটি রুমে তাদের তিন মাস আটকে রাখা হয়।

‘‘আমার মনে হয়েছিল, আমি লিবিয়াতেই মারা যাব। আমাদের দিনে মাত্র একবার খাবার দেয়া হতো। অনেকসময় তারও কম। আশি জন মানুষের জন্য সেখানে টয়লেট ছিল একটি। আমরা শৌচকর্ম পর্যন্ত করতে পারতাম না। আমরা খাবারের জন্য কান্নাকাটি করতাম।’’ বিবিসি বাংলা।

ওয়েব ডিজাইন ঘর

Sorry, no post hare.