স্টাফ রিপোর্টার : ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে তারা অনশন ও সংগঠন থেকে গণপদত্যাগের মতো কর্মসূচি পালন করবেন বলে হুমকি দেন।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে এই হুমকি দেওয়া হয়। সেখানে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের বিগত কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাইফ উদ্দিন বাবু লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিগত দিনগুলোতে যারা সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের একটি বড় অংশকে বাদ দিয়ে সঠিক মূল্যায়ন না করে ছাত্রলীগে নিষ্ক্রিয়, বিবাহিত, অছাত্র, অধিক বয়স্ক, বিভিন্ন মামলার আসামি, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এবং বিভিন্ন অপকর্মের দায়ে আজীবন বহিষ্কৃতসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পদায়ন করা হয়েছে। এমন ব্যক্তিদের পদায়ন ছাত্রলীগের নিবেদিত প্রাণকর্মী হিসেবে আমাদের ব্যথিত করেছে।
ছাত্রলীগের শামসুন্নাহার হল শাখার সভাপতি নিপু তন্বী জানান, কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন করতে হবে। এ জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। দাবি পূরণ না হলে অনশনসহ গণপদত্যাগের মতো কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
গত বছরের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলন হয়। এরপর ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরীকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সম্মেলরে এক বছর পর গতকাল সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। তাতে দেখা যায়, ছাত্রলীগের আগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বিভিন্ন পদে থাকা বেশ কয়েকজন পদ পাননি, কেউ বা কাঙ্ক্ষিত পদ পাননি। এতে তারা ক্ষুব্ধ হন।
এ নিয়ে পদবঞ্চিতরা সোমবার বিকালের পর মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে সেখানে হামলা চালিয়ে তা পণ্ড করে দেওয়া হয়। অভিযোগ করা হয়, কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা এই হামলা করেন।
এছাড়া সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বর থেকে পদবঞ্চিত ছাত্রনেতারা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি মধুর ক্যান্টিনের সামনে গেলে নতুন কমিটিতে পদপ্রাপ্তরা বাধা দেন। এতে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের নারী নেত্রীসহ ১০ থেকে ১২ জন আহত হন।