ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মনবাড়িয়ার বিজয়নগরে পুত্রবধূর হামলায় রজব আলী নামের এক মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়েছে। এ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযুক্ত পুত্রবধু রিক্তা মণির পক্ষ নিয়ে উল্টো মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হয়রানি করছে বলে মুক্তিযোদ্ধা অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার ভিটিদাউদপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা রজব আলীর সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার প্রয়াত ছেলে আলী মাসুদের স্ত্রী রিক্তা আক্তারের মনোমালিন্য চলছিল। মাসুদ আড়াই বছর আগে সৌদি আরবে মারা যান। এরপর রিক্তা তাকে নিজের মেয়ে বানিয়ে বিয়ে দিয়ে বাড়িতে রাখাতে বলেন রজব আলীকে। পরবর্তীতে মাসুদের ভাগের বাড়ির জায়গা নিয়ে রিক্তা আদালতে মামলা করেন। বৃহস্পতিবার রিক্তা তার বাবা ও স্বজনদের নিয়ে রজব আলীর বাড়িতে এসে মালামাল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন রজব আলী ও তার স্ত্রী রাহিমা আক্তারকে মারধর করেন। এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ নিয়ে বিজয়নগর থানায় গেলে ওসি ফয়জুল আজিম বিষয়টি তদন্ত করার জন্য আউলিয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল হাসানের কাছে পাঠান। বৃহস্পতিবার রাত ২টায় পুলিশ নিয়ে রিক্তা তার বাবা ও স্বজনসহ আবারও রজব আলীর বাড়িতে আসেন। পুলিশের সামনেই রজব আলী ও তার স্ত্রী রাহিমা আক্তার এবং মেয়ে সালমা আক্তারকে মারধর করে জোরপূর্বক রিক্তা ঘরের মালামাল নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেছেন রজব। ঘটনার পর পুলিশ উল্টো রজব আলীকেই আটক করে হেনস্থ করেছে বলে রজব আলী অভিযোগ করেছেন। পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই আবুল হাসান বলেন, হাজত খানায় ঢুকিয়ে হেনস্তা করে টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধা রজব আলীকে ছাড়ার অভিযোগ সত্য নয়। রজব আলীর পুত্রবধূ রিক্তার অভিযোগে পুলিশ রিক্তা ও তার বাবার সাথে বাড়িতে গেলে রজব আলীর স্ত্রী ও মেয়ে ডাকাত-ডাকাত বলে বাড়ির গেট লাগিয়ে পুলিশকে মারধর করে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে ঘটনা জানার জন্য রজব আলীকে নিয়ে আসি। তার কাছ থেকে বিস্তারিত শুনে ইউপি সদস্যকে ডেকে ছেড়ে দেই।