খবর সারাদিন রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বিচ্ছিন্ন দু-একটি ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্নভাবে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলার ৬৩ কেন্দ্রের সবকটিতেই ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন করা হয়। তাই ভোট গ্রহন কিছুটা ধীর গতির হয়। ভোটচলাকালে একটি কেন্দ্রের ইভিএম মেশিন ছিনতাই করে নেয়া হয়। লক্ষীমুড়া এলাকায় কেন্দ্রের বাইরে নৌকা ও ঘোড়ার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাছিমা লুৎফর রহমানের ব্রাক্ষনবাড়িয়া শহরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙ্গচুর হয়।
দুপুের উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের সাতগাঁও মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থীর এজেন্টদের বিরুদ্ধে ইভিএম যন্ত্রাংশ নিয়ে যাওয়ার নেয়ার অভিযোগ উঠে। এসময় প্রায় ২ ঘন্টা ভোট গ্রহন বন্ধ ছিল। সাতগাঁও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নূর মাহমুদ জানান, দুপুরে হঠাৎ করে কয়েকজন বুথে আক্রমণ করে। তারা ইভিএমের সঙ্গে সংযুক্ত একটি মনিটর ভাঙচুর করে চারটি মনিটর নিয়ে যায়।
দুপুর সাড়ে ১২ টায় পত্তন বড়পুকুর পাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বহিরাগত নৌকার সমর্থক ও এলাকাবাসী ঘোড়ার সমর্থকদের মধ্যে মারামারি বেঁধে যায়। তখন পুলিশ কন্সটেবল রিপন মোদক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, সাবেক ভিপি হাসান সারোয়ার সহ ৭/৮ জন আহত হন। আহতরা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। তবে ভিপি হাসান সারোয়ারকে ঢাকায় প্রেরন করা হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য। দুপুরের পর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাছিমা মুকাই আলীর ব্রাক্ষনবাড়িয়া শহরের বাস ভবনে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। এসময় ২টি জিপ, করোলা প্রাইভেটকার, মটর সাইকেল ভাংচুর ও পুলিশের একটি মটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগক করে। ২টি মটর সাইকেল তারা নিয়ে যায়। লুৎফুর রহমান টাওয়ারে ৫০/৬০জন হামলা চালায়। তার বাস ভবনের ফটক ভেঙ্গে প্রার্থীর অফিস কক্ষ, জেনারেটর কক্ষ, অভ্যর্থনা কক্ষ, প্রহরীর ২টি কক্ষসহ নিচতলার ৫টি কক্ষ ভাংচুর করে দোতলায় ভাচুর চালায়। বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্রও ভাংচুর করা হয়। পরে তারা বাসভবনের আন্ডার গ্রাউন্ডে পার্কির এলাকায় প্রার্থীর ব্যবহৃত ল্যান্ড ক্রুজার (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৫-৭৪৩৪) জিপ, পাজেরো (ঢাকা-মেট্রো-ঘ-১১-৮৭৯৪) জিপ, টয়োটা সেলুন (ঢাকা-মেট্রো-ভ-১১-২০৩৩) প্রাইভেটকার, এই বাড়ি ভাড়াটিয়া দৈনিক আজকালের খবরের জেলা প্রতিনিধি মোজাম্মেল চৌধুরীর মোটর সাইকেল (ঢাকা-মেট্রো-হ-২৭-৮৭৭০) ভাংচুর করে। এরপর তারা বাড়ির সামনে রাখা একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩টি রামদা, ২টি চাপাতিসহ বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করে। পুলিশ হামলায় জড়িত সন্দেহে জেলা সৈনিক লীগের আহবায়ক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম জুম্মান, মেহেদী হাসান, মারুফ মিয়া, আরমান, ইয়াছিন আরাফাতকে আটক করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সেলিম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।