,
শিরোনাম:
১৪৪ ধারা জারির মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিসিবির পণ্য বিক্রয় উদ্বোধন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংঘর্ষের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক দুই মন্ত্রী, চার এমপিসহ ১০৬ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা নাসিরনগর সরকারি কলেজে ছাত্রদলের মতবিনিময় ও লিফলেট বিতরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে কাউন্সিল নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের সংর্ঘষ, আহত অর্ধশত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মামলা বানিজ্য \ কাজ হচ্ছেনা পুলিশের সর্তক বিজ্ঞপ্তিতে \ জনমনে আতঙ্ক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু শিবির ও শীত বস্ত্র বিতরন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন মাদক পাচারকারী গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মা সহ ২ কন্যা সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু

আখাউড়ায় চিরকুট লিখে কিশোরের আতহত্যা“আমি চাই আব্বু আম্মু মিলে মিশে ভাল থাকুক” আমাকে মাফ করে দিও, ইতি অপু

Letter Pic 1

খবর সারাদিন রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় চিরকুট লিখে অপু মিয়া (১৫) নামের এক কিশোর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আতহত্যা করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বুধবার বিকেল আখাউড়া উপজেলা মোগড়া ইউনিয়ন ছয়ঘড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত অপু মিয়া মোগড়া ইউনিয়ন ছয়ঘড়িয়া গ্রামের আনোয়ার মিয়ার ছেলে। এ সময় অপুর বিদায়বেলায় লিখে যাওয়া একটি চিরকুট পাওয়া যায়। যেখানে লেখা রয়েছে “আমার মত্যুর জন্য দায়ি কেউ নন। আমি চাই আব্বু ও আম্মু মিলে মিশে থাকুক। কখনো ঝগড়া না করুক, ভাই বোনদের যেন না মারে। তাদের যেন আদর  করেন। আমাকে মাফ করে দিও, ইতি অপু”।

পুলিশ জানায় দুপুরে অপুর বসতঘরে দীর্ঘক্ষণ দরজা জানালা বন্ধ থাকায় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হলে দরজা ধাক্কাধাক্কি করে ও কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে আখাউড়া থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে অপুর ঝুলা মরদেহ উদ্ধার করে।

জানা যায়, বুধবার সকালে নিহত অপুর মায়ের সাথে প্রবাসে থাকা তার পিতা আনায়ার মিয়ার সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এর জের ধরে অপুর মা তাকে মারধর করে। পরে সকালে তার মা তাকে ঘরে একা ফেলে পিত্রালয়ে চলে যায়। তবে এটি হত্যা না আতহত্যা এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানা যায়নি।
অপুর মা নিলুফা বেগম জানান, আমি আমার ছেলের জন্য নিজে দুপুরের খাবার রান্না করে ঘরে রেখে, আমার বাপের বাড়ি যাই। কিন্তু পরে শুনি, আমার ছেলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আতহত্যা করছে। কেন করছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কোন কারণ খাঁজে পাচ্ছি না, এই কারণে আমার ছেলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আতহত্যা করতে পারে। আমার কাছে ছেলের এই মৃত্যুটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে।

এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান খবর পেয়ে আখাউড়া থানা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরত্বসহকার তদন্ত করে দেখছি।

শেয়ার করুন

Sorry, no post hare.