খবর সারাদিন রিপোর্ট : আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিদেশ থেকে আগত সকল প্রবাসীকে খোঁজে বের করতে হবে। তারা কোথায় আছে, কি করছে সবকিছুই সংশ্লিষ্টদের জানাতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শনিবার সকালে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক হায়াৎ উদে দৌলা খান এই কথা বলেন। তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধিদেরকে নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করতে হবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে এ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। তাদেরক এলাকায় অবস্থান করে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সকল কাজে সহযেগিতা করতে হবে। যে সকল জনপ্রতিনিধি এলাকায় অবস্থান করবেন না তাদের ব্যাপারে রিপোর্ট দেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সরকারী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ইচ্ছামত কাজ করা যাবে না। বৃহস্পতিবার এলেই ঢাকা যাওয়া ত্যাগ করুণ। বাজার কর্মকর্তা বাজারে থাকেন না, এটা মেনে নেয়া যায়না। কেউ অপ্রত্যাশিত আচরণ করলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না। সরকার করোনা প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে। কারো দায়িত্বে অবহেলা সহ্য করা হবে না। জনসমাগম হয় এমন স্থান বন্ধ করে দেয়া হবে। সরকারের প্রতিটি বিভাগকে চূড়ান্ত সমন্বয়ের মধ্যে রাখতে হবে। এছাড়াও সভায় করোনা ভাইরাস কে টার্গেট করে নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার মূল্য উধর্বমূখী হওয়ায় ব্যবসায়ীদের ভর্ৎসনা করে দ্রুতই বাজারে বাজারে অভিযান আরো জোরদার করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, কতিপয় ব্যবসায়ী আতংক সৃষ্টি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করেছে, আমরা কোন কথা শুনতে চাইনা, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সিভিল সার্জন বলেন, এখন পর্যন্ত ৩৭৬ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। করোনা রোগী পাওয়া গেলে এ্যাম্বুলেন্স রেডি থাকবে, ঢাকায় পাঠানো হবে। র্যাব ১৪ এর কামান্ডার রাফি উদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের বলেন, আমরা ধৈয্য ধরেছি। পণ্যদ্রব্য মূল্যের নিয়ন্ত্রণ না করলে মুনাফাখোর ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হবে। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, আতংক সৃষ্টি না করে সচেতনতার মাধ্যমে করোনা মোকাবেলা করা হবে। পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, পণ্যদ্রব্য উর্দ্ধগতি রোধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ সময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ জেলার বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।