,
শিরোনাম:
শর্টগানের ৬৭টি কার্তুজসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিবির দুই কনস্টেবল গ্রেপ্তার অপারেশন ডেভিল হান্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার তারুণ্যের উৎসবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে পিঠা উৎসব ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭ মাদকসেবীকে সাজা সরাইলে অবৈধ ইটভাটাকে তিন লাখ টাকা জরিমানা আখাউড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লোক ও কারুশিল্প মেলা সংক্ষিপ্ত করার দাবি ব্যবসায়ীদের হেফাজতে ইসলাম নাসিরনগর উপজেলার কমিটি গঠিত আব্দুস সাত্তার সভাপতি \ মুখলেছুর রহমান সাধারণ সম্পাদক সরাইলে দুই ভুয়া পুলিশসহ গ্রেপ্তার-৮ বিজিবির অভিযানে বিজয়নগরে দেড় কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য উদ্ধার

এগিয়ে আসেনি কেউ, চার মেয়ের কাঁধে বাবার লাশ

resize 350x300x1x0 image 142817 1586140358

খবর সারাদিন রিপোর্ট : করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির লাশ শ্মশানে নিতে কেউ এগিয়ে এলো না। শেষ পর্যন্ত শোকাহত চার মেয়েই কফিন কাঁধে তুলে বাবার লাশ নিয়ে গেছে শ্মশানে। ভারতের উত্তর প্রদেশের আলীগড়ে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় প্রশাসনের সমালোচনা চলছে। সাধারণ লোকজন করোনা ভাইরাস আতঙ্কে ‘সামাজিক দূরত্ব’ দেখালেও প্রশাসন কী করেছে, এ প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

pixel?e=6&exuid=45819509 8aea 4cc4 a00f b46cb31b72b0

মৃত ওই ব্যক্তির নাম সঞ্জয় কুমার (৪৫)। আলীগড়ের নুমাইশ ময়দানের চা-হেলিংয়ের বাসিন্দা সঞ্জয় কুমার পেশায় চা বিক্রেতা ছিলেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে যক্ষ্মা রোগে ভুগছিলেন তিনি। অভাবের সংসারে সরকারি হাসপাতাল থেকে ওষুধ এনেই কোনো রকমে নিজের রোগ সারতে চাইছিলেন। এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে, চার মেয়ে অভাবের কারণেই পড়াশোনা ছেড়ে ঘরে বসা।

সম্প্রতি সঞ্জয়ের শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। এর মধ্যে করোনা ভাইরাসের কারণে ঘোষিত ‘লকডাউনে’ ওষুধের আকাল চলছিল। এই পরিস্থিতিতে সরকারি হাসপাতালে ওষুধ মিলছিল না তার। বাইরে থেকে ওষুধ কিনে খাওয়াও সম্ভব ছিল না সঞ্জয়ের পক্ষে। শেষ পর্যন্ত বেঁচে থাকতেও পারলেন না। যক্ষ্মা রোগে মারা গেলেও নিকটাত্মীয় বা স্বজন কেউই সঞ্জয়ের সৎকারে এগিয়ে আসেননি করোনা ভাইরাস আতঙ্কে। বাবার শোকে বিমূঢ় চার মেয়েই শেষে বাধ্য হয়ে লাশ কাঁধে নেয়। কাঁদতে কাঁদতেই লাশ নিয়ে যায় শ্মশানে। তারাই সারে শেষকৃত্য।

শেয়ার করুন

Sorry, no post hare.