খবর সারাদিন রিপোর্ট : করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন মানুষের জন্য দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ‘ফুডবাস্কেট’ (খাদ্যভান্ডার) স্থাপন করা হয়েছে। প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুস সালাম চৌধুরী। তিনি উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্থাপন করেছেন খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহের ভান্ডার। নাম দিয়েছেন ‘ফুডবাস্কেট’।
সরকারের নির্দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। ফুডবাস্কেট এ খাদ্যপণ্য গড়ে তোলার বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছেন এলাকার জাতীয় সংসদ সদস্য মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান মিল্টনসহ সর্বস্তরের মানুষ।
গত শনিবার (১ মার্চ) থেকে ফুডবাস্কেট এর কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এই ফুডবাস্কেটে গত রবিবার (৫ মার্চ) বিকেল পর্যন্ত নগদ ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ১০ টন চাল, ৬ টন ২৯০ কেজি আলু, ৩ টন ১০ কেজি লবণ, সোয়াবিন তেল ৫০০ গ্রাম ওজনের ২ হাজার ৭৯৮ বোতল, ছোট সাবান ৩ হাজার ৫টা জমা পড়েছে। ইতোমধ্যে এগুলো সুস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য প্যাকেট প্রস্তুত করা হচ্ছে।
উপজেলা পর্যায়ে গঠিত ত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরণী কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এটিএম হামীম আশরাফ বলেন, স্থানীয় দানশীল বিত্তবান ব্যক্তিদের কাছ থেকে ফুডবাস্কেটে খাদ্যপণ্য সংগ্রহ করে প্যাকেট তৈরির মাধ্যমে বাড়ী বাড়ী সেগুলো পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
ফুডবাস্কেট স্থাপনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুস সালাম চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলার মোট জনসংখ্যার একটা বড় অংশ অকৃষি পেশায় নিয়োজিত। যাদের মধ্যে রিকশা-ভ্যানচালক, রেস্তোরাঁ ও দিনমজুর বেশি। এ সময় তারা বেকার হয়ে পড়েছেন। তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য ফুডবাস্কেট সৃষ্টির উদ্যোগে নেয়া হয়েছে, যাতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত সহায়তার পাশাপাশি এলাকার দানশীল মানুষ সহায়তা করছেন। এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
ইউএনও আরও বলেন, সমাজের অবস্থাপন্ন মানুষের কাছ থেকে সহায়তা নিয়ে এই ব্যাংকে জমা রাখা হবে। সমাজের বিত্তবান বা দানশীল যে কেউ যেকোনো বস্তুগত সহযোগিতা করতে পারবেন। সেটি হতে পারে চাল, ডাল, আলু, ভোজতেল, লবণ, পেঁয়াজ, শিশুখাদ্য প্রভৃতি। পরে এই খাদ্যসামগ্রী কর্মহীন শ্রমজীবী পরিবারগুলোর কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান মিল্টন বলেন, ফুডবাস্কেট গড়ে তোলার ব্যাপারে একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে, এখানে যেকেউ এক টাকা থেকে শুরু করে সাধ্যমত দান করতে পারেন। সংগৃহিত খাদ্যশস্য কর্মহীন দিনমজুর ও শ্রমজীবী পরিবারগুলোর মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।