খবর সারাদিন রিপোর্ট : বিদেশী নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরে যেতে আন্তরিকভাবে সহায়তা করছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত ৬টি বিশেষ ফ্লাইটে ৯০০ এর অধিক বিদেশী নাগরিক নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন। যেখানে আন্তরিকতার সঙ্গে সহায়তা করেছে বাংলাদেশ সরকার।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। সেখানে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার বিদেশী নাগরিক এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের স্থায়ী বাসিন্দাদের সার্বিক সহায়তার বিষয়ে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ঢাকায় অবস্থিত বিদেশী মিশনসমূহ যারা তাঁদের নাগরিক এবং স্থায়ী বাসিন্দাদের এই দুর্যোগকালীন সময়ে পরিবারের সাথে থাকার জন্য নিজ নিজ দেশে নিয়ে যেতে ইচ্ছুক, তাঁদের যেকোনো সহযোগিতার বিষয়ে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।
সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বিশেষ ফ্লাইটসহ এখন পর্যন্ত ৬টি বিশেষ ফ্লাইটে ৯০০ এর অধিক বিদেশী নাগরিক নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন। এদের অধিকাংশই নিয়মিত যাত্রী যারা বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারির আগে বাংলাদেশে এসেছিল এবং নিয়মিত ফ্লাইট বন্ধের কারণে এ দেশে আটকা পড়ে। তারা তাঁদের দূতাবাসগুলোর সাথে নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে যোগাযোগ করে এবং এরই প্রেক্ষিতে দূতাবাসগুলো বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় ভাড়া করা বিমানের মাধ্যমে তাঁদেরকে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
এদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রগামী অধিকাংশ যাত্রীই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দা যারা বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজ নিজ পরিবারের সাথে থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত স্থায়ী বাসিন্দাদের একটি বড় অংশ স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে সেদেশে ফিরে যাওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতার জন্য নির্ধারিত সময় সীমার পূর্বেই ফেরত গেছেন।
জাপানিজ এবং রাশিয়ান নাগরিক যারা বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন তাঁদের একটি বড় অংশ এদেশে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করতেন যা বর্তমান পরিস্থিতিতে বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে তাঁদের কোন কাজ না থাকায় তারা নিজ পরিবারের সাথে মিলিত হওয়ার জন্য বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাঁদের সকলেই বাংলাদেশে ফিরে আবার কাজে যোগ দিবেন বলে আশা প্রকাশ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশে অধ্যয়নরত বিদেশী শিক্ষার্থীদের অনেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় নিজ নিজ দেশে ফেরত গেছেন।
একইসাথে সরকার বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশী নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দা, বিশেষ করে কূটনীতিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরকে যথাযথ স্বাস্থ্য সুবিধা এবং সহযোগিতা দেওয়ার বিষয়েও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।