,
শিরোনাম:
১৪৪ ধারা জারির মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিসিবির পণ্য বিক্রয় উদ্বোধন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংঘর্ষের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক দুই মন্ত্রী, চার এমপিসহ ১০৬ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা নাসিরনগর সরকারি কলেজে ছাত্রদলের মতবিনিময় ও লিফলেট বিতরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে কাউন্সিল নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের সংর্ঘষ, আহত অর্ধশত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মামলা বানিজ্য \ কাজ হচ্ছেনা পুলিশের সর্তক বিজ্ঞপ্তিতে \ জনমনে আতঙ্ক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু শিবির ও শীত বস্ত্র বিতরন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন মাদক পাচারকারী গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মা সহ ২ কন্যা সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একই পরিবারের ১২ জন ও জেলা কারাগারের চিকিৎসক আক্রান্ত

images 16

খবর সারাদিন রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার মধ্যেই হঠাৎ করে একদিনে সর্বোচ্চ ১১ জন আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে জেলার নবীনগরে উপজেলার জাফরপুর গ্রামে একই পরিবারের ১০ জন রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, এ গ্রামের পরিবারটির ২ জন সদস্য আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে ব্রাক্ষনবাড়িয়ায় আইসোলেনে রয়েছে। সোমবার পরিবারটির আরো ১০জন সহ মোট ১২জন আক্রান্ত হলো। সিভিল সার্জন মোঃ একরাম উল্লাহ আক্রান্ত হওয়ার বিষয় সোমবার নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৭ জন। এর মধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৩ জন। এখন ১৯ জন জেলা বক্ষব্যাধি হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে আইসোলেশনে আছেন। জেলার আখাউড়া ও নাসিরনগর উপজেলায় মারা গেছেন দুজন। সিভিল সার্জন অফিস সুত্র জানায়, নবীনগরে একই পরিবারের ১০জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পর একটি মেডিকেল টিমকে সে গ্রামে পাঠানো হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ সহ পরীক্ষা নিরীক্ষার পর প্রয়োজনীয ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জাফরপুর গ্রামে একই পরিবারে এক সাথে ১০ জন করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া যাওয়ার পর সে গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে কিছুটা আতংক সৃষ্টি হয়েছে। ১২শ ভোটার ও অন্তত ৩ হাজার জনসংখ্যা অধ্যুষিত গ্রামটি লক ডাউন ব্যাপারে প্রশাসনিক আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের এক চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ঘটনায় জেল সুপার ও ডেপুটি জেলারসহ কারাগারের ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারী হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। কারা মহাপরিদর্শকের নির্দেশে রবিবার বিকেল থেকে ওই ৬জন নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। করোনা পরীক্ষার জন্য তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এছাড়াও সতর্কতা হিসেবে আক্রান্ত চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসা চারজন কয়েদিকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। বর্তমানে জেলা কারাগারে প্রায় সাড়ে ১৭শ হাজতি ও কয়েদি রয়েছেন। আক্রান্ত ওই চিকিৎসকই কারাগারের একমাত্র চিকিৎসক। সর্বশেষ গত ২ এপ্রিল তিনি কারাগারে যান। তখন কারাগারের হাসপাতালে চারজন কয়েদি ওই চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসেন। এছাড়া জেল সুপারের কক্ষেও যান ওই চিকিৎসক। ওইদিন জেল সুপার ও ডেপুটি জেলার মোঃ রেজাউল করিমসহ ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রান্ত চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসেন। পরবর্তীতে রোববার ওই চিকিৎসকের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর কারা মহাপরিদর্শকের নির্দেশে জেল সুপার ও ডেপুটি জেলারসহ ছয়জন কারাগারের ভেতরে যাওয়া থেকে বিরত রয়েছেন। সতর্কতা হিসেবে ছয়জনই হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে বলে জানান জেল সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন। কোয়ারেন্টাইন শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাসা থেকেই দাফতরিক কাজ করবেন ওই কর্মকর্তারা। বর্তমানে ওই চিকিৎসক নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন।

শেয়ার করুন

Sorry, no post hare.