মোজাম্মেল চৌধুরী : সোনিয়া-সুমাইয়া। দু, বান্ধবী। দীর্ঘদিন এক সাথে চলাফেরা। থাকা খাওয়া। পড়াশোনা। বুধবার ও দিনের বেশীর ভাগ সময় এক সাথে কাটিয়েছে। তাদের বয়স চৌদ্দের কোঠায়। বুধবার আচমকা তারা বাড়ির পাশেই পোস্ট অফিসের পেছনে তাদের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কুটি এলাকায়। এ নিয়ে গোটা এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। কেন কি কারনে, কি ভাবে দু,বান্ধবীর একই জায়গায় ফাঁসিতে ঝুলেছে তা নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। তাদেরকে কি হত্যা করা হয়েছে, নাকি আত্মহত্যা। এ নিয়ে ধু¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গরীব ঘরের সন্তান সোনিয়া (১৩) ও সুমাইয়া (১৪) খেলার সাথী, চলার সাথী। স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত। অনিয়মিত ছাত্রী ছিল তারা। এ বয়সের দু,তরুনীর যুগল আত্মহত্যার ঘটনা স্বাভাবিক নয় বলে স্থানীয়রা বলছেন। পিতা মাতার সাথে কোন অভিমান নয়। ঝগড়া জাটি নয়। সর্বদা হাসি খুশি ও প্রানোচ্ছল থাকা তরুনীদের বিপথে মৃত্যুর জন্য তৃতীয় কোন পক্ষ আড়ালে ছিল কি না তা সকলকে ভাবিয়ে তুলছে। তাদেরকে আত্মহগত্যার মত জগন্য পথে ঠেলে দিতে বাধ্য করতে নেপথ্য কারো ভুমিকা থাকার কথা সামনে চলে এসেছে। কুটি ইউপি চেয়ারম্যান সায়েদুর রহমান স্বপন জানান, প্রথমে আমার সন্দেহ ছিল। যেখানে ঘটনা ঘটেছে তার পাশেই পোষ্ট মাষ্টার কাজ করেছে। সুরুত হাল রিপোর্টে তাদের শারীরিক যে অবস্থা তাতে দেখা গেছে কোন বিশেষ সিম টম (আলামত) নেই। তিনি নিজেও প্রশ্ন করেন দু, এক সাথে আত্মহত্যা করবে কেন ? বুধবার বিকালে উপজেলার কুটি পোস্ট অফিসের নির্জন স্থান থেকে ঝুলন্ত আবস্থায় পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে মরদেহের সূরতহাল রিপোর্ট তৈরী করা হয়েছে। সোনিয়া কুটি উত্তরপাড়া এলাকার বিল্লাল মিয়া ও সুমাইয়া একই এলাকার বাবুল মিয়ার মেয়ে। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন জানান, ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্থানীয় সুত্র জানায়, প্রেমের ঘটনা নিয়েই তারা আত্ম হত্যা করেছে। এক যুবক দু, বান্ধবীর সাথে প্রেম করে আসছিল। সম্প্রতি ঘটনা জানাজানি হয়। এরপরই তাদের মধ্যে নানা ধরনের জামেলা হয়। পরবর্তীতে এক সাথে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
শেয়ার করুন