খবর সারাদিন রিপোর্ট : জুম্মার নামাজান্তে করা হচ্ছিলো তবারক বিতরণ। মুসল্লীদের ভিড় দেখে পঞ্চাশোর্ধ বৃদ্ধ হেফজু সরকার দ্রুত বিতরণের কথা বলায় তবারকদাতা মামুন সরকারের সাথে মসজিদের ভেতরেই হয় বাদানুবাদ। এর জেরে পরে রাস্তায় আরেক দফা বাদানুবাদ থেকে হয় হাতাহাতিও। এক পর্যায়ে বৃদ্ধকে অসুস্থাবস্থায় হাসপাতালে নিয়েও হয়না শেষ রক্ষা।ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা এলাকার।
শুক্রবার (৩ জুলাই) দুপুরে জেলার নবীনগর উপজেলার লাউরফতেপুর ইউনিয়নের আহাম্মদপুর গ্রামে ঘটে এই ঘটনা। নিহত হেফজু সরকার (৫৫) ওই গ্রামের মনির হোসেন সরকারের পুত্র। পুলিশ নিহতের মরদেহ মর্গে পাঠিয়েছেন। এই এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টির পাশাপাশি বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ।
নিহতের পরিবার, স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে আহাম্মদপুর গ্রামের সরকারবাড়ি জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে তবারক বিতরণ করছিলেন গ্রামের বাসিন্দা মামুন সরকার। এসময় তবারক নিতে মুসল্লিদের ভিড় দেখে দ্রুত তবারক বিতরণ করতে বলেন মামুনেরই চাচাতো ভাই হেফজু সরকার। এ নিয়ে মসজিদের ভেতরেই হেফজু ও মামুনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে যাওয়ার পর আবারও কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঘটে হাতাহাতির ঘটনা। এরই এক পর্যায়ে বৃদ্ধ হেফজু সরকার অসুস্থবোধ করলে তাকে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে নবীনগর থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মরদেহের শরীরে পাওয়া যায়নি আঘাতের কোনো চিহ্ন। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাবার পরই জানা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ।’
শেয়ার করুন