,
শিরোনাম:
১৪৪ ধারা জারির মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিসিবির পণ্য বিক্রয় উদ্বোধন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংঘর্ষের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক দুই মন্ত্রী, চার এমপিসহ ১০৬ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা নাসিরনগর সরকারি কলেজে ছাত্রদলের মতবিনিময় ও লিফলেট বিতরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে কাউন্সিল নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের সংর্ঘষ, আহত অর্ধশত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মামলা বানিজ্য \ কাজ হচ্ছেনা পুলিশের সর্তক বিজ্ঞপ্তিতে \ জনমনে আতঙ্ক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু শিবির ও শীত বস্ত্র বিতরন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন মাদক পাচারকারী গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মা সহ ২ কন্যা সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু

আহমদিয়া সম্প্রদায়ের শিশু বলে কথা দাফনের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই শিশুর মরদেহ কবর থেকে তুলে ফেলা হলো

Deadbody Pic
মোজাম্মেল চৌধুরী : ব্রাহ্মণবাড়িয়া, দাফনের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই শিশুর মরদেহ কবর থেকে তুলে ফেলা হয়েছে। রেখে দেয়া হয়েছে রাস্তায়। চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ঘাটুরা গ্রামে। তা ও আবার মাইকিং করে। আহমদীয়া সম্প্রদায়ের এই শিশুটিকে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের কবর স্থান থেকে তুলে ফেলা হয়।
জানা গেছে, ফেনী সদর উপজেলার বাসিন্দা সাইফুল ইসলামের স্ত্রী স্বপ্না বেগম ৭ জুলাই শহরের খ্রীস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। স্বপ্নার বাবার বাড়ি ঘাটুরা গ্রামে। কয়েক মাস ধরে তিনি বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। নির্ধারিত সময়ের আগে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় শিশুটিকে হাসপাতালে ইনকিউবেটরে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় শিশুটি মারা যায়। ধর্মীয় রীতি মেনে সকাল ৭টায় শিশুটির মরদেহ ঘাটুরা এলাকার একটি সরকারি কবরস্থানে দাফন করা হয়। শিশুর পরিবারের সদস্যরা আহমদীয়া সম্প্রদায়ের হওয়ায় দাফনের ঘণ্টা দেড়েক পর মাইকিং করে মরদেহ কবর থেকে তোলার জন্য লোকজন জড়ো করে আহমদীয়া বিরোধী পক্ষ। এরপর মরদেহ কবর থেকে তুলে কবর স্থানের বাইরের সড়কে ফেলে রেখে যায়। কারা এ কান্ড করেছে তা জানা যায়নি।
শিশুটির বাবা সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, মাইকিং করে আহমদীয়া সম্প্রদায় বিদ্বেষীদের জড়ো করা হয়। এরপর মরদেহ কবর থেকে তুলে কবরস্থানের সীমানা প্রাচীরের বাইরে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সেটি আমরাও জানি না। পরবর্তীতে পুলিশ পাহারায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় আমাদের সম্প্রদায়ের নিজস্ব কবরস্থানে নিয়ে মরদেহ দাফন করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ হাজারী আঙ্গুর বলেন, গ্রামের বাসিন্দারা বাঁধা দিয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজা বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিলো। দুই পক্ষ বিষয়টি সমাধান করে ফেলে।

 

শেয়ার করুন

Sorry, no post hare.