,
শিরোনাম:
১৪৪ ধারা জারির মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিসিবির পণ্য বিক্রয় উদ্বোধন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংঘর্ষের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক দুই মন্ত্রী, চার এমপিসহ ১০৬ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা নাসিরনগর সরকারি কলেজে ছাত্রদলের মতবিনিময় ও লিফলেট বিতরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে কাউন্সিল নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের সংর্ঘষ, আহত অর্ধশত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মামলা বানিজ্য \ কাজ হচ্ছেনা পুলিশের সর্তক বিজ্ঞপ্তিতে \ জনমনে আতঙ্ক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু শিবির ও শীত বস্ত্র বিতরন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন মাদক পাচারকারী গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মা সহ ২ কন্যা সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফোর লেন সড়কের জমি অধিগ্রহনে ভূমির শ্রেনী ও ক্ষতিপূরনে অনিয়মের অভিযোগ  

Pic B.baria Press Conference 2 scaled
খবরসারাদিন রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থল বন্দর পর্যন্ত সড়ক চারলেনে উন্নীত করন প্রকল্পের জমি অধিগ্রহনে ভূমির প্রকৃত অবস্থা এবং যৌথ তদন্তের ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ নিরূপন হয়নি
বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে ক্ষতিগ্রস্থ ২৩ ভূমি মালিক এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন। এতে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দাবী করেন তারা।
ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ।
এতে বলা হয়, চার লেন বিশিষ্ট ওই জাতীয় মহাসড়ক তৈরীতে সরকার ভূমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন এল.এ কেইস নং ১২/২০১৮-১৯ মূলে অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের ১৯ মে অধিগ্রহণকৃত জায়গার সরেজমিন ভিডিও ধারণ করে  যৌথ তদন্তের জন্য  ভূমি মালিকদের নোটিশ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে তদন্তের বিষয় ফিল্ডবুকে লিপিবদ্ধ করে ভূমি মালিকদের কাছ থেকে স্বাক্ষর গ্রহণ করে তাদেরকে অনুলিপি প্রদান করা হয়। যৌথ তদন্তের পর তদন্ত টিম ফিল্ডবুকে ভাদুঘর মৌজার বিএস খতিয়ানের ৮,১৩,১৫,৫০, ৫১, ৫২, ৫৯,৬০,৬১, ৬২, ৭৭, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১১২, ১১৩, ১১৪, ১২৩, ১২৪, ১২৬, ১৫৬,১৯৪, ৮২৮, ৮৩০,৮৩১, ৮৩৩,  ৮৩৫, ৮৪৭, ৮৭২ নং দাগের ভূমির বাস্তব অবস্থা ভিটি শ্রেনীর এবং তাতে গৃহ ও স্থাপনা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এসব জায়গায়  শতাধিক পরিবারের আবাসস্থল বিদ্যমান রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। এব্যাপারে ৪ ধারা নোটিশ প্রদানের পর  ভূমির মালিকরা বাস্তব অবস্থা অনুসারে ভূমির ক্ষতিপূরণ নিরূপণের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর একাধিক আবেদন করেন।
কিন্তু জেলা প্রশাসকের পক্ষে এল.এ কর্মকর্তাগণ গত ২০ ফেব্রুয়ারি তারিখে ওইসকল ভূমি নাল শ্রেনীর এবং সেখানে বিদ্যমান স্থাপনার কোন ক্ষতিপূরন উল্লেখ না করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে ভূমি মালিকদের মধ্যে ২৩ জন জেলা প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার বরাবর একাধিক লিখিত আবেদন করেন। ভূমির প্রকৃত অবস্থা এবং ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করার তাদের এসব আবেদন আমলে না নিয়ে প্রশাসন অমানবিক সিদ্ধান্ত নেয় বলে সংবাদ সম্মেলনে ভূমি মালিকরা অভিযোগ করেন। তারা ন্যায্য ক্ষতিপূরন পাওয়ার দাবী করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে ভূমি মালিক আবদুল মোতালেব গাজী, আজমল খান, মোছা. হাদিজাতুল কুবরা, আবদুল হাসিম, বাছির মিয়া, মো. ধনু মিয়া, মো. সাদেক মিয়া, হারুন অর রশিদ, আক্তার হোসেন, মো. মহব্বত হোসেন চৌধুরী, মো. মহসিন মিয়া, মোছা. পারভীন ইসলাম, মো. আবদুর রশিদ, নূর মিয়া, আনিছ মিয়া, জজ মিয়া, হাসান মিয়া, সানজিদা আক্তার, সাফায়েত, তানভীর অদুদ ও শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন

Sorry, no post hare.