খবর সারাদিন রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে এক গৃহবধূকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর শ্বশুর ও শাশুড়ি পলাতক রয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৬ বছর পূর্বে বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের কামালমুড়া গ্রামের শাহ আলমের সাথে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর গ্রামের শাহালম মিয়ার মেয়ে নার্গিসের (২২)। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা দেয়ার পরও আরো যৌতুকের জন্য নির্যাতন চালাতো স্বামীর বাড়ির লোকজন। গৃহবধূ নার্গিসকে তার পিতার কাছ থেকে আরো টাকা এনে দেয়ার জন্য চাপ দেয়া হয়। এক বছর পূর্বে দুই লাখ টাকা দেয় গৃহবধূ নার্গিসের পরিবার। সেই টাকা দিয়ে কাজের সন্ধানে স্বামী শাহ আলম সৌদি আরব পাড়ি জমায়। তারপর শ্বশুর সাইদ মিয়া ও শাশুড়ি বেবী বেগম দেনা শোধ করার জন্য পুত্রবধূকে বাপের বাড়ি থেকে আরো টাকা এনে দেয়ার জন্য চাপ দেয়। এ নিয়ে তাদের মাঝে প্রায়ই কলহ হতো।
নিহত নার্গিসের মা সুজানা বেগম জানান, সোমবার দুপুরে লোক মারফত জানতে পারি আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে মেয়ের শ্বশুরকে ফোন দিলে পরে কথা বলবে বলে ফোন রেখে দেয়। এ ঘটনার পর শ্বশুর পলাতক রয়েছে। শাশুড়ি বেবী বেগমকে পুলিশ ধরে নিয়ে আসতে চাইলে গ্রামবাসী বাঁধা দেয়। পরে ছাড়া পেয়ে সেও পালিয়ে গেছে। আমার মেয়েকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চায়।
আউলিয়া ফাঁড়ি ইনচার্জ কবীর খান জানান, লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা। তবে লাশে শরীরের কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন নেই।
শেয়ার করুন