,
শিরোনাম:
শর্টগানের ৬৭টি কার্তুজসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিবির দুই কনস্টেবল গ্রেপ্তার অপারেশন ডেভিল হান্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার তারুণ্যের উৎসবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে পিঠা উৎসব ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭ মাদকসেবীকে সাজা সরাইলে অবৈধ ইটভাটাকে তিন লাখ টাকা জরিমানা আখাউড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লোক ও কারুশিল্প মেলা সংক্ষিপ্ত করার দাবি ব্যবসায়ীদের হেফাজতে ইসলাম নাসিরনগর উপজেলার কমিটি গঠিত আব্দুস সাত্তার সভাপতি \ মুখলেছুর রহমান সাধারণ সম্পাদক সরাইলে দুই ভুয়া পুলিশসহ গ্রেপ্তার-৮ বিজিবির অভিযানে বিজয়নগরে দেড় কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য উদ্ধার

বিরোধে জিততে আশি বছর বয়স্কা আনোয়ারাকে নিয়ে টানাহেচড়া

Brahmanbaria Sarail pic 1

খবর সারাদিন রিপোর্ট : বয়সের ভারে কাহিল আনোয়ারা বেগমের(৮০) শরীর। বিভিন্ন সময় তার মৃত্যুর খবরও ছড়িয়েছে। জীবন সাঙ্গ হয় হয় অবস্থা। এই বৃদ্ধাকেই বানানো হয়েছে বিরোধে হারজিতের গুটি। একপক্ষের আকাঙ্খা তার মৃত্যু। অন্যপক্ষে তার বেঁচে থাকার প্রার্থনা। তাকে মেরে হত্যা মামলা দেয়া হবে। এনিয়ে দু:শ্চিন্তায় ঘুম হারাম এই পক্ষটির। সরাইলের নোয়াগাও ইউনিয়নের কাটানিসার গ্রামে এখন আলোচনা ওই বৃদ্ধাকে নিয়েই। ৮ই জুলাই উত্তর কাটানিসার গ্রামে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় গ্রামের আবুল কাশেমের ঘরে হামলা চালিয়ে তার বৃদ্ধা স্ত্রী আনোয়ারাকে কপালে দা’ দিয়ে কুপ দেয়ার অভিযোগ উঠে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। অপরপক্ষের লোকজনের দাবী আনোয়ারা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। বেশ কিছুদিন আগে সে মারা গেছে এমন খবরও প্রচার হয়েছিলো গ্রামের মাইকে। নানা রোগশোকে মৃত্যুমুখে থাকা আনোয়ারাকে মেরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার ফন্দি করার অভিযোগ উঠে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আনোয়ারাকে। ১১ই জুলাই তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।

পূর্ব বিরোধের জের ধরে কাটানিসার গ্রামে ওইদিন দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষে অর্ধশত লোক আহত হয়। এসময় ৮-১০টি ঘরবাড়ি ভাঙ্গচুর ও লুটপাট হয়। তবে এ সংঘর্ষে আলোচিত হয়ে উঠেন গ্রামের আবুল কাশেমের প্রথম স্ত্রী আনোয়ারা। ওইসময় আহত আনোয়ারা বেগম মারা গেছে বলে গুজব ছড়িয়ে দেয় একটি পক্ষ। এতে উত্তেজনা আরো বেড়ে যায়।
সরজমিনে ওই গ্রামে গিয়ে জানা যায়- বর্তমান ইউপি সদস্য মিজান মিয়া ও সাবেক ইউপি সদস্য অলি মিয়ার মধ্যে গত ক’বছর ধরেই বিরোধ চলছে। তাদের বিরোধে ছোটখাট ঘটনাতেও প্রায় সময় গ্রাম উত্তপ্ত হয়। মিজান মেম্বারের পক্ষের লোক আবুল কাশেম। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে কাশেম তার প্রথম স্ত্রীকে গুটি করে। ঘটনার পরপরই হাসপাতালে এনে ভর্তি করে তাকে। তার কপালে দা দিয়ে কুপানো হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়। অপর পক্ষের লোকজন বলছে মামলা সাজাতে আনোয়ারার কপালে তার মেয়ে ব্লেড দিয়ে পোচ দেয়। আনোয়ারার ভাই ফরিদ মিয়া বলেন,তার বোন বাড়িতে শয্যাশায়ী ছিলেন। দুই পক্ষ গোলমাল করেছে। সেখানে তার বোনকে নিয়ে টানাহেচড়া করা হচ্ছে। কপাল কাইট্টা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরেক ভাই বাচ্চু মিয়া বলেন তার বোন মারা গেছে এই খবর শুনে তারা বোনের বাড়িতে ছুটে যান। দেখেন তার বোন ভালোই আছেন। তারপরও তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে আমার বড় ভাই বোনের স্বামীকে বলে দেন, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে কোন মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে প্রতিপক্ষকে যেন কাহিল করা না হয়। গ্রামের রেহান উদ্দিন জানান- অলি মিয়া ও মিজান মেম্বারের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ১০ বছর ধরে বিরোধ চলছে। গত তিন মাস ধরে তাদের মধ্যে ঝগড়া-ফ্যাসাদ হচ্ছে। তাদের বিরোধে আত্বীয়তারসুত্রে অন্যান্যরা জড়িত হয়। রেহান আরো জানান- ঘরের বেড়ায় দায়ের কোপ দিলে বেড়া কেটে দায়ের আচর লাগে আনোয়ারা বেগমের কপালে। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে পুরুষশূন্য রয়েছে গ্রামটি। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল মামুন মুহাম্মদ নাজমুল আলম জানান,মুরগীর খামারের পানি রাস্তায় পড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় এক বৃদ্ধা মারা গেছে বলে রিউমার ছড়ানো হয়। তাকে কেন্দ্র করে মামলা দিতে চাচ্ছে একটি পক্ষ সেটি তিনিও শুনেছেন। বলেন ওই মহিলার বয়স ৮০ বছর। তার ব্রেইন ষ্ট্রোক করেছিলো। সে কথাও বলতে পারেনা। ঝগড়ায় সে আক্রান্ত হয়নি। এ ঘটনায় একটি পুলিশ এ্যাসল্ট মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি। গ্রেফতার করা হয়েছে ২১জনকে।

 

শেয়ার করুন

Sorry, no post hare.