মোঃ আজহার উদ্দিন : হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার সাতবর্গ গ্রামে রিনা বেগম (২৮) নামে এক গৃহবধুকে যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ১৯ই জুলাই ভোররাতে স্বামীর নির্মম নির্যাতনের পর গতকাল বিকালে গুরুতর আহত রিনাকে আশংকাজনক অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
ইয়াবা ব্যবসায়ী স্বামীর নির্যাতনের শিকার রিনা মাধবপুর উপজেলার ৭ নং জগদীশপুর ইউনিয়নের উত্তরবরগ গ্রামের গোলাপ মিয়ার মেয়ে।
রাতে নির্যাতিত রিনার ছোট ভাই সোহরাব মিয়া বলেন, গত ১বছর আগে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে মাধবপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড পূর্ব গ্রামের মোঃ হিরা মিয়ার ছেলে শরীফ মিয়ার সাথে রিনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর মাধবপুর উপজেলার সাতবর্গ ভাড়া বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে উঠে শরীফ। কিছুদিন যেতেই রিনা বুঝতে পারে তার স্বামী শরীফ ইয়াবা আসক্ত ও ব্যবসায়ী। বিয়ের মাসখানেক পর থেকে যৌতুকের জন্য রিনার উপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করে শরীফ। শত নির্যাতনের পরেও রিনা স্বামীর ঘর ছাড়েনি। শরীফকে ইয়াবা সেবন করতে সবসময় বাধা দিতো রিনা।
গত ১৯ জুলাই ভোরে যৌতুকের জন্য রিনার উপর নির্মম নির্যাতন চালায় শরীফ ও তার ছোট ভাই রতন মিয়াসহ বাড়ির মালিক প্রান বনিক সহ কতিপয় সহযোগী। রিনার সারা শরীর ব্লেড দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে তার স্বামী শরীফ ও ছোট ভাই রতন মিয়া। ওইদিন সকাল ৯টায় গুরুতর আহত রিনার অবস্থা আশংকাজনক দেখে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে পালিয়ে যায় তার স্বামী শরীফ। রিনার অবস্থা আশংকাজনক হলে, মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর স্বাস্থ্য কর্মীদের সহযোগিতায় তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাজমুল হক রনি জানান, বর্তমানে রিনার অবস্থা আশংকাজনক। তাই তাকে ভর্তি দেয়া হয়েছে।