খবর সারাদিন রিপোর্ট : পারস্পরিক বিশ্বাস আর শ্রদ্ধার ভিত্তিতে রচিত বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, অবকাঠামো, নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে সোনালি অধ্যায় চলছে।সোমবার (২৭ জুলাই) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ রেলওয়েকে ১০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) হস্তান্তর ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে একথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয়শংকর।
অনুষ্ঠানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পারস্পরিক বিশ্বাস আর শ্রদ্ধার ভিত্তিতে রচিত বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার কালোত্তীর্ণ সম্পর্কের গভীরতার কথা তুলে ধরেন। কোভিড-১৮ মহামারিতেও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার গতি হ্রাস না পাওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, চলমান ঐতিহাসিক মুজিববর্ষে এ জাতীয় আরও মাইলফলক অতিক্রম করবে বলে প্রত্যাশা।
অনুষ্ঠানে ভারতের রেলপথ, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করতে রেল সহযোগিতার তাত্পর্যকে গুরুত্ব দেন।
…তিনি বলেন, সম্প্রতি স্থল সীমান্ত দিয়ে বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ভারত ও বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব কমাতে রেল সহযোগিতা আরও বাড়িয়েছে। ব্যয় সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব বাহন হিসেবে রেল আন্তঃসীমান্ত পণ্য পরিবহনে সহায়তা করেছে। জুন মাসে দু’দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মালবাহী ট্রেন চলাচল হয়েছিল। প্রয়োজনীয় পণ্য ও কাঁচামাল বহনের জন্য মোট ১০৩টি মালবাহী ট্রেন ব্যবহৃত হয়। সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পার্সেল এবং কনটেইনার ট্রেন পরিষেবাও শুরু হয়েছে। এতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতের রেলপথ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অঙ্গদি সুরেশ, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, রেল সচিব, রেলওয়ে মহাপরিচালক, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারসহ উভয় দেশের নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।