,
শিরোনাম:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেগম রোকেয়া দিবস পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস উদযাপিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে আখাউড়ায় ওসি গুজব ছড়ালেই ব্যবস্থা, কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবসে নাসিরনগরে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা পৌর কর্মচারী কিরণ মোল্লার উপর হামলাকারীদেরকে গ্রেপ্তার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল-মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কর্মবিরতিতে যাওয়ার আল্টিমেটাম দেশীয় অস্ত্রসহ সরাইলে ৫ ডাকাত গ্রেপ্তার নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সম্মেলনে অধ্যাপক সেলিম ভ‚ইয়া ভারতের সাথে হাসিনা সরকারের যত চুক্তি হয়েছে সমস্ত চুক্তি বাতিল করতে হবে সরাইলে মাহফিলের নামে গান-বাজনা বন্ধ করলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত ডাকাতি প্রস্তুতিকালে আশুগঞ্জে পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার-৩

ভারত-বাংলাদেশ বহুমুখী সংযোগ: উভয় দেশের জন্য সমান লাভজনক প্রস্তাব

images 39

ডেস্ক রিপোর্ট :;ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র ছিল সংযোগ বা কানেক্টিভিটি সম্প্রসারণ। সংযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত কয়েক বছরে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উভয় পক্ষই মনে করে যে, আকাশ, নৌ, রেল ও সড়কপথে যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে পারস্পরিক কল্যাণের স্বার্থে বাংলাদেশ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ও এর বাইরেও অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। কলকাতা থেকে আগরতলার উদ্দেশে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে কন্টেইনার জাহাজের প্রথম চলাচল এজন্য গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে উভয় পক্ষই ভারত থেকে বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চল থেকে পণ্য পরিবহণে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরস স্বাক্ষর করে যা দুই দেশের অর্থনীতির জন্যই সমান লাভজনক হতে পারে।

এর আগে ২০১৫ সালে দু’দেশই উপকূলীয় নৌ পরিবহণের বিষয়ে একটি চুক্তি এবং ২০১৮ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতে পণ্য পরিবহণের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এই চুক্তি এবং এসওপিগুলি নৌ, রেল, সড়ক বা বহুমুখী পরিবহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে পণ্য পরিবহণের অনুমতি দেয়।
চুক্তির আওতায় আটটি রুট চিহ্নিত করা হয়েছে যা বাংলাদেশের মধ্যদিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করবে। চিহ্নিত আটটি রুট হলো, চট্টগ্রাম/মংলা বন্দর থেকে আখাউড়া হয়ে আগরতলা (ত্রিপুরা), চট্টগ্রাম/মংলা বন্দর থেকে তামাবিল হয়ে ডাউকি (মেঘালয়), চট্টগ্রাম/মংলা বন্দর থেকে শেওলা হয়ে সুতারকান্দি (আসাম) এবং চট্টগ্রাম/মংলা বন্দর থেকে বিবির বাজার হয়ে শ্রীমন্তপুর (ত্রিপুরা) এবং তার বিপরীত।
এই পরীক্ষামূলক পরিবহণ কার্যক্রম উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলের উন্নয়নে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে, ভারত থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে পণ্য পরিবহনের জন্য দূরত্ব, সময় এবং কারিগরি ব্যয় হ্রাস পাবে এবং উভয় অর্থনীতির জন্য লাভজনক হবে।
বাংলাদেশের পক্ষে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, লজিস্টিক খাতে বিনিয়োগ জোরদার করা, সরবরাহ শৃঙ্খলের সমন্বয়, অর্থ, পরিবহন, বীমা ইত্যাদি ব্যবসায়িক পরিষেবার প্রচার এবং রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।

শেয়ার করুন

Sorry, no post hare.