খবর সারাদিন রিপোর্ট : বিয়ে নর-নারীর একটি সামাজিক বন্ধন। বিয়েকে বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর সবচেয়ে দৃঢ় চুক্তি। বিয়ে বন্ধনের মাধ্যমে শুধু দুজন নর-নারী নয় দুটি সামাজিক অবস্থানের মানুষের মধ্যেও তৈরি হয় সম্পর্কের সেতুবন্ধন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় হরিপুরে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে অন্য যায়গায় বিয়ে করায় নববধূকে ছুরিকাঘাত করে মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল ১০ই আগস্ট বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ফিরা যাত্রার বউকে মাধবপুর নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পথে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নাসিরনগরের হরিপুর ইউনিয়নের আলীয়ারা পশ্চিম পাড়ার জজ মিয়ার ছেলে সুমন(২৫) মিলনপুর (হরিণবেড়-গুনিয়াউক) বাইপাস রাস্তায় নবদম্পতির উপর বর্বরোচিত হামলার করেন। ওই সময় সুমন ২-৩জন সঙ্গী নিয়ে সিএনজি আটকিয়ে নববধূর বুকে ও হাতে ছুরিকাঘাত করেন। তারপর আনুমানিক ৩লক্ষ টাকার স্বর্ণালংকার ও নগদ পয়ত্রিশ হাজার টাকা লুটে নিয়ে সুমন পালিযে যায়।
শিরিনা আক্তার হরিপুর ইউনিয়নের জারুয়া গ্রামের বড়বাড়ি দক্ষিনপাড়ার রেনু মিয়া মেয়ে।
গত ৭ই আগস্ট হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের খিলগাঁও গ্রামের ফকিরবাড়ির সমজ আলীর ছেলে মুহাম্মদ পলাশ পারিবারিক ও সামাজিক সম্মতিতে ৪লক্ষ টাকায় কাবিনে শিরিনা আক্তারকে বিয়ে করেন।
হরিপুর ইউনিয়নের ৭, ৮, ৯নং ওয়ার্ল্ড মেম্বার হনুফা বেগম জানান, গত রমজান মাসে সুমন নামের ওই ছেলে উনার মাধ্যমে রেনু মিয়ার কাছে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। রেনু মিয়ার স্ত্রী কয়েকমাস আগে বার্ধক্যজনিত কারনে মারা যাওয়ায় ওই সময় বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তবে এই বর্বরোচিত হামলা ও শিরিনার বিয়ের ব্যাপারে কোন কিছু জানেন না বলে তিনি দাবি করেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৯ই আগস্ট মুহাম্মদ পলাশ ফিরা যাত্রায় শুশুড় বাড়িতে আসেন। আজকে বিকেলে স্ব স্ত্রীক যাওয়ার পথে সুমন মোবাইলে(০১৭…..৪১) গ্রামীণ নাম্বারে ভাই পরিচয়ে পলাশের সাথে যোগাযোগ করেন। তারপর মিলনপুর রাস্তা আটকিয়ে নবদম্পতির উপর বর্বরোচিত হামলা করেন। হামলায় গুরুতর আহত হয়ে শিরিনা ও পলাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. আরিসুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিয়ের আগের প্রেম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নবদম্পতির উপর হামলা করতে পারেন বলে তিনি জানান। এখনো থানায় আহতরা কোন অভিযোগ করেননি। তবে অভিযুক্ত যে কেউ হউক না কেন আইনের উর্ধে কেউ নয়।
শেয়ার করুন