খবর সারাদিন রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাস্ক না পড়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের বিরুদ্ধে ২ যুবককে মারধোরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে শহরের পৌর আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনে এঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপর প্রেসক্লাবে এসে অভিযোগ করেন ওই দুই যুবক। এসময় তাদের একজন ব্যাথায় কাঁদছিলেন। তবে মারধোরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কিশোর কুমার।
চিনাইর গ্রাম থেকে শহরে আসেন রাব্বী। তার মাস্ক পড়া ছিলোনা। এজন্যে পৌর আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনে ভ্রাম্যমান আদালত তাকে দাড় করিয়ে ৫’শ টাকা জরিমানা আরোপ করে। রাব্বীর অভিযোগ সঙ্গে জরিমানার টাকা না থাকায় বিকাশে টাকা এনে দেবে বলে ভ্রাম্যমান আদালতকে জানায় সে। কিন্তু টাকা দিতে দেরী করায় ম্যাজিষ্ট্রেটের নির্দেশে পুলিশ তাকে ভেতরে নিয়ে পেটাতে শুরু করে। এরপর সে মায়ের ঔষধ কেনার জন্যে আনা টাকা পকেট থেকে বের করে দেয়। ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশ তখন তাকে বলে, এখন একলাখ টাকা জরিমানা দিলেও কাজ হবেনা। ৭ দিনের জেল দেয়া হবে তাকে। তার দাবী পুলিশের লাঠির আঘাতে তার বা হাত ভেঙ্গে গেছে। ঘটনার বর্ননা দেয়ার সময় ব্যাথায় কাঁদতে থাকেন রাব্বী। একই সময়ে শহরের ভাদুঘর এলাকা থেকে আসা রতন ও তার ভাই জাকির মুখোমুখি হন ওই ভ্রাম্যমান আদালতের। হেনস্থার শিকার হন তারাও। রতনের মাস্ক ছিলোনা। এজন্যে তাদের দাড় করানো হয়। জাকির জানান,তিনি জরিমানার টাকার রশিদ চাওয়ায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হন ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশ। সরকারী কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে মারধোর শুরু করে তাকে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কিশোর কুমার। তিনি বলেন,নরমালি সবাইকে জরিমানা করা হয়েছে। সবাই জরিমানা দিয়েছেন। শুধু একটাই ব্যতিক্রম ছিলো। একটা লোক টাকা থাকা সত্বেও জরিমানা দিতে চাচ্ছিলেননা। একাধিকবার তাকে টাকা দিতে বলা হয়। এরপর জেলের ভয় দেখিয়ে তাকে কিছুক্ষন গাড়িতে রাখা হয়। পরে বিকাশে জরিমানার টাকা এনে দিয়ে চলে যায় সে। কাউকে মারধোরের প্রশ্নই উঠেনা। পৌর মার্কেটের সামনের মতো একটি জায়গায় তা সম্ভবও নয়। ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো: রুহুল আমিন বলেন, আমার জানামতে এমন ধরনের ঘটনা ঘটেনি।
শেয়ার করুন