,
শিরোনাম:
বৈষম্যবিরোধী ৩ ছাত্র প্রতিনিধিকে মাইক্রোচালকদের মারধর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা রিক্সা ও রিক্সা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী তিন উপজেলায় অবাধে ব্যবহার হচ্ছে ভারতীয় সিম! শনিবার জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাড়ে ৫ লাখ শিশু খাবে ভিটামিন এ ক্যাপসুল বিজয়নগরে বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে মানববন্ধন নবীনগরে ১১ চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার ১৮০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী আটক বিজয়নগরে সাংবাদিক পরিচয়ে টাকা দাবি, যুবক গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহানগর এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত ৯ ঘন্টাপর গন্তব্যের দিকে রওয়ানা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর ইতালি প্রবাসীর  সম্পত্তি দখলের অভিযোগ সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। 

Sadar Uddin Manik
মোজাম্মেল চৌধুরী :  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে এক কাষ্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তার প্রবাসী চাচার সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ইটালী প্রবাসী চাচা তাজুল ইসলাম সেখানকার বাংলাদশি দুতাবাসে এ অভিযোগ জানিয়ে প্রতিকার প্রার্থনা করেছেন। এর অনুলিপি দেয়া হয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের  সচিব, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে।
এছাড়া প্রবাসীর জায়গায় লাগানো লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ কাস্টমস বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মানিক ও তার মা-বাবাসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও হয়েছে। মানিক বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত।
দুতাবাসে দেয়া আবেদনে তাজুল ইসলাম বলেন, প্রায় দুই যুগ ধরে পরিবারসহ তিনি প্রবাসে  অবস্থান করছেন। এই সুযাগে নবীনগরের বিদ্যাকুট গ্রামের পৈত্রিক ও ক্রয়সুত্র তার মালিকানাধীন বাড়ি সংলগ্ন ১১ শতাংশ জমি এবং পুকুরের ২৪ শতাংশ জায়গা গ্রাস করেছেন তার বড় ভাই আবু শামীমের ছেলে মানিক ও তার পরিবারের অন্যান্যরা। প্রবাসে থাকায় ওই জায়গা ও পুকুরের অংশ তিনি স্থানীয়  দুলাল মিয়ার কাছে লীজ দেন। কিন্তু লীজ গ্রহিতাকে ভোগদখলে বাধা দেন তারা। লিজ গ্রহীতা দুলাল মিয়া জানান, পাঁচ বছরের জন্য পুকুর ও তিন বছরের জন্য বাড়ি সংলগ্ন জায়গা লিজ নেন তিনি। এর মধ্যে পুকুরে চাষ করা মাছগুলো বিষ ঢেলে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন মানিক ও তার পরিবারের লোকজন। জমিতে লাগানো গাছগুলোও কেটে নিয়েছেন তারা। গত ৩রা এপ্রিল গামারি ও মেহগনিসহ লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে নেওয়ার পর  স্থানীয়ভাবে কোনো বিচার না পেয়ে ২০ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতে মানিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুলাল। কিন্তু মামলা দায়েরের প্রায় এক মাস হতে চললেও অভিযুক্তরা আইনের আওতায় না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন দুলাল। দুলালের মতো প্রবাসী তাজুলের মালিকানাধীন ৪১ শতাংশ আয়তনের আরকটি জমি লিজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার গোকর্ণ গ্রামের হাজী গণি মিয়ার ছেলে আরস মিয়া। লিজের জায়গায় আরসের অনুমতি ছাড়াই দোকান দিয়েছেন তাজুলের বড় ভাই আবু তাহের।
লিজ গ্রহীতা আরস মিয়া বলেন, আমার লিজ নেয়া ৪১ শতাংশ জায়গায় একটি স্কুল রয়েছে। স্কুল কমিটি আমাকে ভাড়া দিচ্ছে। কিন্তু আমার অনুমতি ছাড়াই তাজুলের বড় ভাই আবু তাহের জোর স্কুলের পাশে দোকান বসিয়েছে দোকান সারিয়ে নিতে বললে আমাকে মারধর করা হয়। এঘটনায় আমি মামলাও করছি। মানিকের প্রভাবের কারনে পুলিশ এব্যাপার কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তাজুল ইসলামের।
তবে সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা ছদর উদ্দিন মানিক তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন।
এব্যাপার নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চদ্র ধর বলেন, মামলার নথিপত্র দেখে ও তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এ মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে বলা যাবে।
শেয়ার করুন

Sorry, no post hare.