,
শিরোনাম:
১৪৪ ধারা জারির মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিসিবির পণ্য বিক্রয় উদ্বোধন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংঘর্ষের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক দুই মন্ত্রী, চার এমপিসহ ১০৬ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা নাসিরনগর সরকারি কলেজে ছাত্রদলের মতবিনিময় ও লিফলেট বিতরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে কাউন্সিল নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের সংর্ঘষ, আহত অর্ধশত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মামলা বানিজ্য \ কাজ হচ্ছেনা পুলিশের সর্তক বিজ্ঞপ্তিতে \ জনমনে আতঙ্ক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু শিবির ও শীত বস্ত্র বিতরন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন মাদক পাচারকারী গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মা সহ ২ কন্যা সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু

নবীনগরে “পা কাটা” মোবারক হত্যা মামলার প্রধান আসামী কবির চেয়ারম্যান গ্রেফতার

received 962253114289145
কাউসার আলম, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বহুল আলোচিত মোবারক হত্যা মামলার প্রধান আসামি, বীরগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থেকে গ্রেফতার করেছে ‍র‌্যাব-৯ প্রায় পাঁচ মাস পলাতক থাকা চেয়ারম্যান কবির আহমেদ কে গ্রেপ্তার করে। সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় র‌্যাব-৯ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নবীনগর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন।
জানা যায়, গত ১২ এপ্রিল নবীনগর উপজেলার থানাকান্দিতে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় কাউছার মোল্লা ও চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে মোবারক মিয়া নামের এক রিকশা চালককে প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়ি থেকে ধরে এনে তার দেহ থেকে পা বিচ্ছিন্ন করে নৃশংসভাবে খুন করে। পরে হামলাকারীরা ওই বিচ্ছিন্ন ‘পা’ হাতে নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে গ্রামে আনন্দ মিছিলও করে। এ ঘটনায় শতাধিক লোককে আসামি করে নবীনগর থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় পাশের বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা কবির আহমেদকে ‘প্রধান আসামি’ করা হয়।
এবিষয়ে কবির আহম্মেদ চেয়ারম্যানের ছোট ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এইচ এম আলামিন বলেন- পাশের ইউনিয়ন কৃষ্টনগর ইউনিয়ন থানারকান্দি গ্রামে গ্রাম্য দলাদলীতে সৃষ্ট ঝগড়ায় নিহত মোবারক মৃত্যুর আগে জবানবন্দিতে তার উপর হামলাকারীদের নাম বলে যান যেখানে আমার ভাই কবির আহামেদ চেয়ারম্যানের নাম নেই, পুলিশ বাদী হয়ে যে মামলা করেন সেখানেও আমার ভাইয়ের নাম নাই কিন্তু স্থানীয় এমপি এবাদুল করিম বুলবুলের সমর্থক ও অনুসারী না হওয়ায় আমার ভাই কবির আহমেদ চেয়ারম্যানকে শায়েস্তা করতেই পরিকল্পিতভাবে তাকে এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে। তিনি আরো জানান আমাদের পরিবার সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদলের কট্টর সমর্থক ও অনুসারী হওয়ায় বর্তমান এমপি পরিকল্পিতভাবে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমার ভাই কবির আহাম্মদকে হত্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে।
এবিষয়ে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ প্রভাস চন্দ্র ধর বলেন, ‘র‌্যাব- ৯ এর হাতে গ্রেপ্তার হওয়া মোবারক হত্যা মামলার প্রধান আসামি কবির চেয়ারম্যানকে রাতেই পুলিশের একটি দল শ্রীমঙ্গল থেকে নবীনগর থানায় নিয়ে আসে। আসামীকে আজকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
শেয়ার করুন

Sorry, no post hare.