খবর সারাদিন রিপোর্ট : জোর করে বন্ধ করে দেয়া রাস্তা খুলে দিতে আদালতের আদেশের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় একটি পরিবার সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে। তাদের ঘরবাড়ি ভাঙ্গচুর করা ছাড়াও প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেয়া হয়। এরআগেও পরিবারটিকে নির্যাতন করা হয়। একের পর এক সন্ত্রাসী ঘটনায় আতঙ্কে দিন কাটছে ওই পরিবারের সদস্যদের। ওদিকে আদালত বন্ধ করে দেয়া রাস্তা উন্মুক্ত করার আদেশ দিলেও এর তোয়াক্কা করেনি সন্ত্রাসীরা।
মামলা ও স্থানীয় লোকজন সুত্রে জানা যায়, কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের সফিকুল ইসলামের বাড়ির রাস্তা টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয় পাশের বাড়ির আক্তার হোসেন স্বপন গং। এনিয়ে সফিক আদালতে মামলা করলে আক্তার গং ক্ষুব্দ হয়ে ওঠে। গত ২১শে সেপ্টেম্বর রাতে দলবদ্ধভাবে সফিকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ির লোকদের মারধর করে। এসময় ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সফিকুল ইসলামের পরিবারের লোকজনকে উদ্ধার করে। এ ঘটনার দু-দিন পর ২৩শে সেপ্টেম্বর উল্টো সফিক, তার ভাই-ভাতিজাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে পার্শ্ববর্তী খারঘর গ্রামের কবির সরকারের স্ত্রী রাবিয়া বেগম বাদী হয়ে কসবা থানায় একটি মামলা করেন। এরপরই সফিকুল ইসলাম সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (কসবা) আদালতে এনামুল সরকার, আক্তার হোসেন স্বপনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এদিকে গত ২৯শে সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের ব্যবহৃত রাস্তা টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করার বিষয়ে একটি আদেশ দেন। যাতে আক্তার হোসেন স্বপন গংকে নিজ খরচে ১০ দিনের মধ্যে তা অপসারন করে নিতে বলা হয়। আদালতের এই আদেশে ক্ষুব্দ হয়ে আক্তার ও তার ১৫/২০ জন লোক গত ১১ই অক্টোবর রাত প্রায় আড়াইটার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সফিকের বাড়িতে হামলা চালায়। সফিকের ঘরে থাকা তার ভাতিজা নূরুল ইসলাম বাবুলকে অস্ত্রেরমুখে জিম্মি করে। এরপর সন্ত্রাসীরা তিনটি ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। ওইসব ঘর থেকে অন্ত:ত ১০ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়। এ ঘটনায় সফিকের স্ত্রী রুনা বেগম বাদী হয়ে এনামুল সরকার, আক্তার হোসেন স্বপনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। একের পর এক সন্ত্রাসী ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সফিকের পরিবার। এদিকে আদালতের আদেশ মোতাবেক ১০ দিন পেরুলেও উন্মুক্ত হয়নি রাস্তা। এলাকায় গেলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি,সাবেক ইউপি সদস্য আলী আজম বলেন, বহু বছরের পুরনো রাস্তা বন্ধ করায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে। এনিয়ে সফিক মামলা করার পরই আক্তার গংরা ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা-মামলার মাধ্যমে সফিকের পরিবারকে নাজেহাল করে চলেছে। রাস্তার বিষয়ে আদালত সঠিক রায় দিয়েছে।