,
শিরোনাম:
শর্টগানের ৬৭টি কার্তুজসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিবির দুই কনস্টেবল গ্রেপ্তার অপারেশন ডেভিল হান্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার তারুণ্যের উৎসবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে পিঠা উৎসব ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭ মাদকসেবীকে সাজা সরাইলে অবৈধ ইটভাটাকে তিন লাখ টাকা জরিমানা আখাউড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লোক ও কারুশিল্প মেলা সংক্ষিপ্ত করার দাবি ব্যবসায়ীদের হেফাজতে ইসলাম নাসিরনগর উপজেলার কমিটি গঠিত আব্দুস সাত্তার সভাপতি \ মুখলেছুর রহমান সাধারণ সম্পাদক সরাইলে দুই ভুয়া পুলিশসহ গ্রেপ্তার-৮ বিজিবির অভিযানে বিজয়নগরে দেড় কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য উদ্ধার

এক মাসে গ্রেফতার হয় নি জোড়া খুন মামলার আসামীরা খুনীরা প্রকাশ্যে ঘুরছে, পরিবারের সদস্যদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন

Brahmanbaria murder pic 4
খবর সারাদিন রিপোর্ট : জোড়া খুন। প্রায় এক মাস পেরিয়েছে। এখনো গ্রেফতার হয়নি হত্যা মামলার মূল আসামী। খুনের মামলার আসামীরা এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নানা ধরণের ভয়, ভীতি ও হুমকী প্রদর্শন করছে। পরিবারের সদস্যরা রয়েছে তীব্র আতংক ও উৎকন্ঠায়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর লামা বায়েক গ্রামে চাঞ্চল্যকর ইশান ও মনির হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়। জোড়া খুনের ঘটনায় ২১ জনের নামে আশুগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় গত এক মাসে শুধু মাত্র ১ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য আসামীরা প্রকাশ্যে, নির্বিঘেœ এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলার লালপুরে দুই যুবকের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে লামাবায়েক গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে ইশান (২২) ও সিরাজুল ইসলামের ছেলে মনির হোসেন (২৪) হত্যা করে দুবৃদ্বরা। দোকানে আড্ডা দেয়ার সময় লামাবায়েক গ্রামের বাদশা মিয়ার বাড়ির আহমদ আলীর ছেলে আলী আজম ও বাচ্চু মিয়ার বাড়ির মতলব মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়ার মধ্যে  কথাকাটাকাটি হয়। এসময় আলী আজম দুলালকে চর থাপ্পড় মারে। এরই সূত্র ধরেই দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে ঘটনা স্থলে উপস্থিত ইশান ও মনির নিহত হয়। একই গ্রামের আলী আজ্জম, মাহফুজ ও শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে হামলা করে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা তাদের হত্যা করে নিহতরে স্বজনদের অভিযোগ। এ ঘটনায় ১ অক্টোবর আশুগঞ্জ থানায় ২১ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের টানা একমাস পার হলেও পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারে টালবাহান করছে।
নিহত ইশানের বাবা মিজানুর রহমান জানান, হত্যাকান্ডের এতদিন পার হলেও আসামীদের ধরা হচ্ছে না। আমরা এখন আতংকে রয়েছি। কখন কি ঘটে তা বলতে পারি না। আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
মাতা আকলিমা আক্তার জানান, ছেলেই ছিল আমার একমাত্র ভরসা। অনেক শ্রম অনেক প্রচেষ্টা দিয়ে তাকে লালন পালন করেছি। আমার ছেলেকে যারা মেরে ফেলেছে তারা এখনো মুক্ত আকাশের নীচে ঘোরা ফেরা করছে আর আমরা কষ্টে দিন পার করছি। আসামীদের হুমকী ধামকীতে আমার এখন আতংকে রয়েছি।
পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, হত্যাকান্ডের পর অপরাধীরা পালিয়ে থাকে। তাদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাদের অবস্থান চিহ্নিত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
শেয়ার করুন

Sorry, no post hare.