,
শিরোনাম:
১৪৪ ধারা জারির মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিসিবির পণ্য বিক্রয় উদ্বোধন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংঘর্ষের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক দুই মন্ত্রী, চার এমপিসহ ১০৬ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা নাসিরনগর সরকারি কলেজে ছাত্রদলের মতবিনিময় ও লিফলেট বিতরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে কাউন্সিল নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের সংর্ঘষ, আহত অর্ধশত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মামলা বানিজ্য \ কাজ হচ্ছেনা পুলিশের সর্তক বিজ্ঞপ্তিতে \ জনমনে আতঙ্ক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু শিবির ও শীত বস্ত্র বিতরন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন মাদক পাচারকারী গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মা সহ ২ কন্যা সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু

এক মাসে গ্রেফতার হয় নি জোড়া খুন মামলার আসামীরা খুনীরা প্রকাশ্যে ঘুরছে, পরিবারের সদস্যদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন

Brahmanbaria murder pic 4
খবর সারাদিন রিপোর্ট : জোড়া খুন। প্রায় এক মাস পেরিয়েছে। এখনো গ্রেফতার হয়নি হত্যা মামলার মূল আসামী। খুনের মামলার আসামীরা এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নানা ধরণের ভয়, ভীতি ও হুমকী প্রদর্শন করছে। পরিবারের সদস্যরা রয়েছে তীব্র আতংক ও উৎকন্ঠায়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর লামা বায়েক গ্রামে চাঞ্চল্যকর ইশান ও মনির হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়। জোড়া খুনের ঘটনায় ২১ জনের নামে আশুগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় গত এক মাসে শুধু মাত্র ১ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য আসামীরা প্রকাশ্যে, নির্বিঘেœ এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলার লালপুরে দুই যুবকের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে লামাবায়েক গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে ইশান (২২) ও সিরাজুল ইসলামের ছেলে মনির হোসেন (২৪) হত্যা করে দুবৃদ্বরা। দোকানে আড্ডা দেয়ার সময় লামাবায়েক গ্রামের বাদশা মিয়ার বাড়ির আহমদ আলীর ছেলে আলী আজম ও বাচ্চু মিয়ার বাড়ির মতলব মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়ার মধ্যে  কথাকাটাকাটি হয়। এসময় আলী আজম দুলালকে চর থাপ্পড় মারে। এরই সূত্র ধরেই দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে ঘটনা স্থলে উপস্থিত ইশান ও মনির নিহত হয়। একই গ্রামের আলী আজ্জম, মাহফুজ ও শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে হামলা করে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা তাদের হত্যা করে নিহতরে স্বজনদের অভিযোগ। এ ঘটনায় ১ অক্টোবর আশুগঞ্জ থানায় ২১ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের টানা একমাস পার হলেও পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারে টালবাহান করছে।
নিহত ইশানের বাবা মিজানুর রহমান জানান, হত্যাকান্ডের এতদিন পার হলেও আসামীদের ধরা হচ্ছে না। আমরা এখন আতংকে রয়েছি। কখন কি ঘটে তা বলতে পারি না। আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
মাতা আকলিমা আক্তার জানান, ছেলেই ছিল আমার একমাত্র ভরসা। অনেক শ্রম অনেক প্রচেষ্টা দিয়ে তাকে লালন পালন করেছি। আমার ছেলেকে যারা মেরে ফেলেছে তারা এখনো মুক্ত আকাশের নীচে ঘোরা ফেরা করছে আর আমরা কষ্টে দিন পার করছি। আসামীদের হুমকী ধামকীতে আমার এখন আতংকে রয়েছি।
পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, হত্যাকান্ডের পর অপরাধীরা পালিয়ে থাকে। তাদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাদের অবস্থান চিহ্নিত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
শেয়ার করুন

Sorry, no post hare.