মোজাম্মেল চৌধুরী : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমির জাল দলিল বানানোর ৩ হোতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে ভুয়া দাতা সেজে জায়গা দলিল করে নেয়ার ঘটনা ধরা পরার পর রাতে জমির ভুয়া বিক্রেতা,দলিল লেখক ও সনাক্তকারীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দেন সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের মোহরার জয়ন্তী রানী চক্রবর্তী। এই মামলায় ভুয়া দলিল দাতা বিজয়নগর উপজেলার দক্ষিন রাজাবাড়ি গ্রামের সাধন সরকার,সনাক্তকারী জেলা শহরের কান্দিপাড়ার মো: রুস্তম আলী এবং দলিল লেখক সদর উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারন সম্পাদক কাজী সাহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করে সদর মডেল থানা পুলিশ। সাহারুল সদর উপজেলার সুুহিলপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগেরও সাধারন সম্পাদক।
পুলিশ জানায়,বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর সাব রেজিষ্টারের এজলাসে বিজয়নগর উপজেলার চর-পাচগাও মৌজার বিএস চূড়ান্ত ৭২৭ খতিয়ানভূক্ত বিএস ৪৪৫৭ দাগের ৩৫ শতক জমি নিবন্ধনের জন্যে দাখিল করা হয়। খতিয়ানে জমির মুল মালিক হিসেবে মৃত চন্দ্র কিশোর শর্মার ছেলে হরেন্দ্র কান্ত শর্মার নাম উল্লেখ থাকলেও নিবন্ধনের জন্যে দলিল দাখিল করেন সাধন শর্মা। সে তার জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতা অবচরণ সরকারের পরিবর্তে হরেন্দ্র কান্ত শর্মা লিপিবদ্ধ করে। সাব রেজিষ্টার মো: ইয়াছিন আরাফাতের সন্দেহ হলে তিনি এ্যাপসের সাহায্যে জাতীয় পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে ভুয়া বলে নিশ্চিত হন। এরপরই সাধন সরকার ও মো: রুস্তম আলীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। রাতে মামলা হলে পুলিশ গ্রেফতার করে দলিলটির লেখক কাজী সাহারুল ইসলামকে। দলিল গ্রহিতা হিসেবে নাম রয়েছে চর ইসলামপুরের মৃত মন্ডল হোসেনের ছেলে মো: ইয়াছিন মিয়ার। তাকে ছাড়াও এই মামলায় আসামী করা হয় শহরের মেড্ডার নয়ন ঋষি ও বিজয়নগরের ইসলামপুরের মো: নূরুল ইসলামকে। দলিলে জমির মুল্য দেখানো হয় ১লাখ ৮হাজার টাকা।
সদর সাব রেজিষ্টার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী আখাউড়ার সাব রেজিষ্টার মো: ইয়াছিন আরাফাত জানান,নিবন্ধন মহা পরিদর্শকের সাথে কথা বলে মুল দলিলটি জব্দ করা হয়েছে। সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে আটকের পর দলিল দাতা সাধন জানায়- ২ হাজার টাকার বিনিময়ে জমির দাতা হয়েছে সে। জমির মালিক সে নিজে,তা বলার জন্যে শিখিয়ে দেয়া হয় তাকে।
শেয়ার করুন