খবর সারাদিন রিপোর্ট : নিজের পৈত্রিক জমি কেড়ে নেয়ার উদ্যোগে দিশেহারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বড় তল্লা গ্রামের উকিল পাড়ার আব্দুল আলী ও আহাদ মিয়া। জমি ফেরত পেতে আদালতে মামলা করেছেন এ দু-ভাই। জানা যায়, বড় তল্লা মৌজায় তাদের মালিকাধীন ৮৫৩ দাগের প্রায় ১৬ শতক জায়গা তাদের অজান্তে খাস জমি হিসেবে রেকর্ড করা হয়। এছাড়া পাশাপাশি আরো ৩ জনের মালিকানাধীন জমি খাস হিসেবে রেকর্ড হয়। এরমধ্যে ৮৬১ দাগের জমি খাস রেকর্ড মুক্ত করে এর মালিককে ফিরিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু জমি ফেরত পাচ্ছেননা আব্দুল ও আহাদ। নিজের জমি ফেরত চাইতে গেলে তাদেরকে নানা ভয়ভীতি দেখান সহকারী কমিশনার-ভূমি। ভ্রাম্যমান আদালত করে সাজা দেয়ার হুমকী দেন। তারা জানান- তাদের এই জমি এখন ভূমিহীনদের দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জমি কেড়ে নেয়া হলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার কোন উপায় থাকবেনা তাদের । গত ১৫ই নভেম্বর জেলা জজ আদালতে জায়গার মালিকানা দাবিতে মামলা করেছেন আব্দুল আলী ও আহাদ মিয়া। আহাদ মিয়া বলেন, আমার বড়মা খয়মননেছা পাকিস্তান আমলে আব্দুর রহমানের কাছ থেকে ৩৮৮ দাগের ১৬ শতক জায়গা ক্রয় করেন। তার মৃত্যুর পর থেকে ওয়ারিশ সূত্রে আমরা জায়গার ভোগদখল করছি। একসময় জায়গাটি খাসে পরিণত হলে স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের জুন মাসে ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জায়গার মালিকানা ফিরিয়ে দেয়। এরপর থেকে জায়গাটি ভোগ দখলসহ ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত আমরা খাজনা পরিশোধ করি। পরে বিএস খতিয়ানে আমাদের অজান্তে আবার ওই জায়গা খাস হিসেবে রেকর্ড করে ফেলা হয়। পুনরায় নতুন করে জায়গার খতিয়ান সৃষ্টি করলে পুরাতন ৩৮৮ দাগের স্থলে নতুন দাগ নাম্বার হয় ৮৫৩। তিনি আরো জানান, সরকারী রেকর্ডে অর্ন্তভূক্ত হলেও তাদের পাশের এক জমির মালিককে তার নামে জমির স্বত্ব ফিরিয়ে দেয়া হয়। জমি ফেরত না পেলে তাদের চলাচলের কোন উপায় থাকবেনা বলেও জানান আহাদ মিয়া। ওদিকে একই দাগের ১৩ শতাংশ জমিতে ভোগ দখলে থাকা সিরাজ মিয়াকে তার জমি ছেড়ে দিতে বলেছে প্রশাসন। এবিষয়ে আশুগঞ্জ সহকারি কমিশনার ভূমি ফিরোজা পারভীন বলেন, জায়গাটি তাদের ভোগদখলে ছিল। বিএস দাগে সরকারের নামে লিপিবদদ্ধ হওয়াতে এখন আমরা নিয়েছি।