খবর সারাদিন রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলোচিত পরকীয়া প্রেমীকা ফারজানা রতন সানিয়া এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে। কানাডা থেকে দেশে ফেরার পরই ২২শে ডিসেম্বর সকালে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। সানিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হান্নান রতনের সাবেক স্ত্রী। স্বামীর ঘর থেকেই জেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ তফিক আহমেদের সঙ্গে পরকীয়ায় মত্ত হন সানিয়া। মোবাইলে তাদের মধ্যে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ন কথাবার্তার ভিত্তিতে ২০১৬ সালের জুন মাসে ঢাকার গুলশান থানায় আইসিটি আইনে মামলা করেন সানিয়ার স্বামী আবদুল হান্নান রতন। পরে মামলাটি সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হয়। ওই আদালতে মামলাটির চার্জ গঠন হয়। মামলায় তফিক ও সানিয়া এ দু-জনকে আসামী করা হয়। গত ২২ শে ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় সানিয়া কানাডা থেকে দেশে ফেরার পরই ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের শ্রীরামপুর গ্রামের বাড়ি হওয়ায় ওই থানা পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়।নবীনগর থানার ওসি আমিনুর রশিদ জানান, সানিয়াকে পরদিনই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতে প্রেরন করেছেন তারা। আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরন করে।এরপর বৃহস্পতিবার তার জামিনের জন্য আবেদন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে। এর আগে ৩ রা ডিসেম্বর স্বামী আবদুল হান্নান রতনকে হত্যা চেষ্টা মামলায় সানিয়া ও তার পরকীয়া প্রেমিক জেলা আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ তফিক আহমেদকে ৩রা ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর চীফ মেট্রাপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এক বছরের কারাদন্ড প্রদান করে।এসময় পাঁচশত টাকা জরিমানা অনাদায় আরও ১৫ দিনের কারাদন্ড প্রদান করে আদালত। আদালতে অনুপস্থিত থাকায় আদালত সানিয়ার বিরুদ্ধে সাজা ও গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে।
এই মামলায় অভিযাগ করা হয় জেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হান্নান রতনকে ২০১৬ সালের ১লা মে রাত ৯টার দিকে ঢাকার গুলশান এলাকার ১২১/১২২ নাম্বার রোডের মাঝখানে তার সাবেক স্ত্রী সানিয়া ও পরকীয়া প্রেমিক সৈয়দ তফিক আহমেদ হত্যার চেষ্টা করে। এসময় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান রতন। এই ঘটনায় ওই রাতই আবদুল হান্নান রতন বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেন। গুলশান থানা পুলিশ তদন্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে।
শেয়ার করুন