খবর সারাদিন রিপোর্ট : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ কমিটির সদস্য হিসাবে মনোনীত হলেন সাবেক ছাত্রনেতা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য ও সাংবাদিক জগতের পরিচিত মুখ সাজ্জাদ হোসেন চিশতী।
ছাত্র জিবন থেকে ৭ম শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালিন বাবার আদর্শে অনুপ্রাণীত হয়ে ড. সাজ্জাদ হোসেন চিশতি ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে ছাত্র জীবন থেকে দলের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেন। তিনি আরামবাগ (তৎকালীন ৩২ নং) বর্তমান ৯নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, এরপর তিনি মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ঢাকা মহানগর ( দক্ষিন) ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করেন। এরপর শুরু হয় দক্ষিন এশিয়ার সর্ববৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতি। দলীয় ভাবে সক্রিয় থাকায় কর্মদক্ষতার কারণে ২০১২ সালে সাজ্জাদ হোসেন চিশতি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হয়। দীর্ঘ ১৮ বছর রাজধানীর রামপুরায় থেকে তিনি নানা রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১/১১ সহ সকল আন্দোলন সংগ্রাম, সর্বশেষ জামায়াত বিএনপির ১২০ দিনের জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
সাজ্জাদ হোসেন চিশতি রাজনীতিতে যেমন সক্রিয় ছিলেন সাংবাদিকতায়ও বাংলাদেশের মধ্যে তিনি একটি পরিচিত মুখ। সাংবাদিকতা পেশায় থেকেও তিনি আওয়ামীপন্থী সাংবাদিক রাজনীতি করেন। বর্তমানে তিনি সদস্য, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন( বিএফইউজে),ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন( ডিইউজে),চট্রগ্রাম বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ফেনী সাংবাদিক ফোরাম, আজীবন সদস্য – ঢাকাস্থ ফেনী সমিতি,বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি , বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের মিডিয়া বিষয়ক সম্পাদক।
কর্মজীবনে সাজ্জাদ হোসেন চিশতি বর্তমানে সাউথ ওয়েষ্টান মিডিয়া গ্রুপ এর অন্যতম প্রতিষ্ঠান পিপল’স টাইম ও অর্থপাতার উপ-সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি কাজ করছেন কলকাতা টিভির হেড অব বিজনেস ও কুমিল্লা ২৪ টিভির প্রধান সম্পাদক ও পরিচালক হিসেবে। তার দীর্ঘ ২১ বছরে গণমাধ্যমে কর্মজীবনে তিনি কাজ করেছেন দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যম ডেইলি অবজারভার, দৈনিক আজকালের খবর, দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক আজকের বিজনেস বাংলাদেশ,আমাদের সময় ডট কম, দৈনিক বাংলাদেশের খবর,দৈনিক যায়যায়দিন, দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিনসহ দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য মিড়িয়ায়।
সাংবাদিক ড. সাজ্জাদ হোসেন চিশতীর পিতা বীর মুক্তিযুদ্ধা অধ্যক্ষ আবু তাহের ভূঁইয়া বিএলএফ-এর একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি ছিলেন সাংবাদিক, কলামিষ্ট, সমাজসেবক ও শিক্ষাবিদ। শুধু তাই নয় তিনিই ছিলেন ফেনীতে প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক। এছাড়াও সাজ্জাদ হোসেন চিশতীর পিতা বীর মুক্তিযুদ্ধা অধ্যক্ষ আবু তাহের ভূঁইয়া ফেনী কলেজের সাবেক ভিপি, ফেনী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, ফেনী জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি, স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম সংগ্রাম পরিষদ ফেনী জেলার আহবায়ক, ফেনী জেলা জাসদ(ইনু) সাবেক সভাপতি,নতুন প্রজন্ম পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেন।
সাজ্জাদ হোসেন চিশতী বলেন, আমার এই সাফল্যের পেছনের গল্প যদি বলতে চাই আমাকে ২ টা মানুষের কথা বলতেই হবে যাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেও শেষ করতে পারবো না। তারা হচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ স্যার। তিনি এমন একজন নেতা যিনি একাধারে যেমন রাজনীতিতে একজন সক্রিয় নেতা হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন ঠিক তেমনি লেখাপড়ায়ও তিনি ছিলেন অত্যান্ত মেধাবী। এসএসসিতে কুমিল্লা বোর্ডে মেধা তালিকায় তিনি তৃতীয় স্থান অর্জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি সন্মান এ প্রথম শ্রেণীতৈ প্রথম স্থান অর্জন এবং যুক্তরাজ্যের ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জ্বালানী আইন ও পলিসি বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন। পিএইচডি গবেষনায় অসাধারন সাফল্যের জন্য ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্পেশাল ডীন’স এওয়ার্ড প্রদান করে।
ড. সেলিম মাহমুদ একজন আইনজ্ঞ, রাজনৈতিক সংগঠক ও বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি। নব্বইয়ের দশক থেকে ড. সেলিম মাহমুদ জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে বিভিন্ন ইস্যুতে সরাসরি কাজ করার সুযোগ পান। তিনি কুখ্যাত ইনডেননিটি অর্ডিন্যাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে প্রথম গবেষনা ভিত্তিক প্রবন্ধ লিখেছিলেন যা ১৯৯১ সালের এপ্রিলে দৈনিক আজকের কাগজে প্রকাশিত হয়েছিলো। ১৯৯৪ সালে দেশে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির পেক্ষাপটে কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েট প্রেরীত ‘স্যার নিনিয়ান মিশন’ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা কর্তৃক গঠিত ৪ সদস্যের দলীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য হিসেবে তিনি সভাপতিকে প্রয়োজনীয় আইনী ও সাংবিধানিক খসড়া উপস্থাপন করে সহায়তা করেছেন।
ড. সেলিম মাহমুদ গত ৩ দশক ধরে নিরবিচ্ছিন্নভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে তাঁর মেধা, আন্তরিকতা সততা, সাহস ও কমিটমেন্ট দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের নির্বাচন পরিচালনা কার্যালয়ের সমন্বয়কারী হিসেবে দলের পক্ষে অক্লান্ত পরিশ্রমসহ বহুমাত্রিক কাজের (ইশতেহার প্রনয়ন, নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয়) সাথে যুক্ত ছিলেন।
অন্য আরেকজন আমার অভিবাবক যিনি আমাকে অত্যান্ত স্নেহ করেন তিনি হচ্ছেন বর্তমান সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ড. কাজী এরতেজা হাসান সিআইপি স্যার।
দেশ ও মানুষের কল্যাণ সাধনে তরুণ বয়সেই তিনি দৈনিক ভোরের পাতা, দ্যা ডেইলি পিপল’স টাইম, পাক্ষিক অর্থপাতা , জেড টিভি, দ্যা ডেইলি মর্নিং মিরর,দৈনিক বণিক বাংলাদেশ নিয়ে গড়ে তোলেন ভোরের পাতা মিডিয়া গ্রুপ। তাঁর মেধা ও সৃজনশীল সম্পাদনাগুণে ইতোমধ্যে চারটি পত্রিকাই পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তিনি একজন সফল সাংবাদিক, সফল সম্পাদক , সফল ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও সফল তথ্যযোদ্ধাও বটে।
তিনি একাধারে মানবাধিকার উন্নয়ন কমিশন ও রূপান্তর ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারপার্সন, ইরান-বাংলাদেশ চেম্বারের প্রেসিডেন্ট। দীর্ঘদিন থেকে একজন মানবাধিকারকর্মী হিসেবে দেশ ও দশের সেবা করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এ জন্যে গণমানুষের পক্ষ থেকে তাঁকে সাহসী কলমসেনা উপাধীতে ভূষিত করা হয়েছে। গত এক দশকে তাঁর প্রজ্ঞাসুলভ ধীমান ও ক্ষুরধার লেখনীতে উন্মোচিত হয়েছে জাতীয় সমস্যার গঠনমূলক সুচিন্তিত দিকনির্দেশনা।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি , হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি , বাংলার রাখাল রাজা , জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের আমি একজন নগন্য সৈনিক। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন নিয়ে যিনি বেঁচে আছেন , গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, দেশরত্ন, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা , বিশ্বনেত্রী, মাদার অব হিউম্যানেটি জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শে সুখী, সমৃদ্ধশালী, দারিদ্রমুক্ত ও ডিজিটাল সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে একজন নগণ্য কর্মী হিসেবে কাজ করে যাওয়াই আমার লক্ষ্য ও উদ্যেশ্য। ভবিষ্যত পথ চলায় তিনি সকলের দোয়া ও শুভ কামনা প্রত্যাশা করেন।