খবর সারাদিন রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুইজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- জেলার সরাইল উপজেলার সৈয়দটুলা গ্রামের সফী আলীর ছেলে আলামিন (১৯) ও অজ্ঞাত (৪০)। এ নিয়ে সহিংসতায় নিহতের সংখা ৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে কীসের আঘাত সেটি ময়নাতদন্ত না করলে বলা যাবেনা।
তবে দুইজন কোন সহিংসতায় মারা গেছেন, সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা সদরের পশ্চিম মেড্ডা ও সরাইলের খাটিহাতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে হরতাল সমর্থনকরীদের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।
তবে এ বিষয়ে পুলিশের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তারা রিসিভ করেননি।
হেফাজতকর্মীরা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা শহরের বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। হরতালকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা কার্যালয়, পৌর মিলনায়তন, জেলা গণগ্রন্থাগার, আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে আয়োজিত উন্নয়ন মেলার অর্ধশত স্টল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয় ও বাড়ি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলা চেয়ারম্যান নাসিমা লুৎফুরের বাড়িতে ও অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়া দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব ভবনেও হামলা চালায় হেফাজতকর্মীরা। এছাড়া হেফাজতকর্মীদের হামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও আমাদের নতুন সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আবুল হাসনাত রাফি আহত হয়েছেন।
এর আগে গতকাল শনিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর বাজার এলাকায় পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের সাথে হেফাজত নেতাকর্মী ও স্থানীয় কাসিন্দাদের সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ছয়জন মারা যান।
শেয়ার করুন