শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, বেসরকারি কলেজ পর্যায়ে অনার্স-মাস্টার্স বন্ধ করে দেওয়া হবে। বৃত্তিমূলক শিক্ষা বাড়ানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (২৬ মে) দুপুরে করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ও শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বেসরকারি কলেজ পর্যায়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পর্যায়ক্রমে এই অনার্স-মাস্টার্স বন্ধ করে দিয়ে সেখানে ডিগ্রি স্তরে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করবেন। ডিগ্রি পরীক্ষা দেবেন। নানা ধরনের শর্ট কোর্স, ডিপ্লোমা কোর্সগুলো করানো হবে সেখানে। যেগুলো অনেক বেশি কর্মমুখী, আত্মকর্মসংস্থানে ও উদ্যোক্তা তৈরিতে উপযুক্ত হবে।
জনসংখ্যাকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তরিত করতেই সরকার এ পরিকল্পনা নিচ্ছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সব কলেজে অনার্স-মাস্টার্সের তেমন কোনো প্রয়োজন হয়ত নেই। অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষিত বেকার তৈরি হচ্ছে। আমরা সেটা চাই না। আমরা জনসংখ্যাকে দক্ষ জনসম্পদে রূপ দিতে চাই।
তিনি বলেন, বেসরকারি কলেজ পর্যায়ে অনার্স-মাস্টার্স বন্ধ করার বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমরা কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা পুরো বিষয়টি দেখছেন। আর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলা হবে। নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তবে এখনই কলেজগুলোতে অনার্স-মাস্টার্স বন্ধ করা হচ্ছে না জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই কাজটি একদিনে হঠাৎ করে বন্ধ করে দিয়ে করা যাবে না। যারা এখন অনার্স-মাস্টার্সে ভর্তি হচ্ছেন, তাদের শিক্ষাজীবন শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। যখন থেকে আমরা মনে করব- পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারব, তখন থেকেই আমরা বন্ধ করে দেব।
আবার সব কলেজেই অনার্স-মাস্টার্স বন্ধ হবে না বলেও জানান দীপু মনি। বলেন, শতবর্ষী ১৩টি কলেজে আছে, বেশ কিছু ভালো কলেজ আছে, যেখানে সব ধরনের উপযুক্ত ব্যবস্থা আছে, সেগুলোতে অনার্স-মাস্টার্স চালানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা।