খবর সারাদিন রিপোর্ট : নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকে ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেফাজতে ইসলামের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে গ্রেফতারের দাবি এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যের করা মামলা নথিভুক্ত করতে আলটিমেটাম দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। পহেলা জুনের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের এমপি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর মামলার আবেদন নথিভুক্ত করে হেফাজত নেতাদের গ্রেফতার না করা হলে মানববন্ধন ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে ছাত্রলীগ।
গত বুধবার মধ্যরাতে ফেসবুকে পৃথক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ আলটিমেটাম দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল জানান, এমপি সাহেব লিখিত এজাহার থানায় জমা দেওয়ার অনেক দিন হওয়ার পরও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবের সঙ্গে জড়িত মূলহোতা সাজিদুর রহমান এবং মোবারক উল্লাহকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। কয়েকজন চুনোপুঁটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ বলেছিলো তারা এজাহারভুক্ত আসামি নয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে এমপি এসব হামলার নির্দেশদাতাদের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় এজাহার দাখিল করার পরও সেটিকে এজাহারভুক্ত করা হয়নি। মামলা এফায়ার না হলে আমরা মানববন্ধন ও কর্মসসূচি করবো।
তারা আরও বলেন, যেহেতু ৩০মে পর্যন্ত লকডাউন। তাই আগামী পহেলা জুন এমপির আবেদন মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করতে ও জেলা হেফাজতের সভাপতি সাজিদুর রহমান-সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোবারক উলাহকে গ্রেফতারের দাবিতে রেলওয়ে স্টেশনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। দাবি পূরণ হওয়ার আগ পর্যন্ত ২ জুন থেকে লাগাতার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, এমপি সাহেবের মামলাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য যাবতীয় কাগজপত্র সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। তাদের রিপোর্ট আসার পরপরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তান্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা। এ সময় জেলার ৩৮টি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে নিহত হয় ১৫ জন।
এসব ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ১মে স্থানীয় এমপি মোকতাদির চৌধুরী বাদী হয়ে হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানার মামলার আবেদন করেন।
শেয়ার করুন