,
শিরোনাম:
সদ্য গ্রেফতার গৃহায়ণ মন্ত্রীর ফাঁসির দাবীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তৌহিদি জনতার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির গ্রেপ্তার নাশকতার মামলায় গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাচিপ সভাপতি আবু সাঈদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসক নেতা আবু সাঈদ গ্রেফতার বিএনপির উপর দুর্নাম আসবে এমন কাজ থেকে প্রশাসনকে বিরত থাকতে হবে……কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা শ্যামল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক দুইমন্ত্রী-৮ সাবেক এমপিসহ ২৪০ জনের বিরুদ্ধে নাশকতা ও বিষ্ফোরক মামলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে হাজতির আত্মহত্যা , কারারক্ষী বরখাস্ত। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কার্ডধারিদের মধ্যে টিসিবির পন্য বিক্রয় শুরু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ সেবনে শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিম ও পিঁয়াজের আড়তে ট্রাস্কফোর্সের অভিযানে দুই দোকানীকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়িকে হত্যার দায়ে যুবলীগ নেতা কাউছারসহ সাতজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত

Brahmanbaria Bijoynagar pic
খবর সারাদিন রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি হত্যা মামলায় যুগলীগ নেতা আবু কাউসার ভূঁইয়াসহ সাতজনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত। গত রবিবার দুপুরে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজ তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আবু কাউসার ভূঁইয়া (৩৯) বিজয়নগর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করা অন্য আসামীরা হলেন, আবু কাউসারের আপন চাচাতো ভাই আসাদ ভূঁইয়া (২৪), জয়  ভূঁইয়া (২৫), পিয়াস ভূঁইয়া (২০), নাইম  ভূঁইয়া (২৪), শরীফ ভূঁইয়া (২০) ও পিন্টু মিয়া (৪৫)। তারা সবাই হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভূক্ত আসামী। ওই হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ৪০দিনের জামিন পান তারা। রবিবার আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
মাদকবিরোধী সভা করায় গত বছরের ২৪ মে সকালে উপজেলার নজরপুর গ্রামে যুবলীগ নেতা কাউসার ও তার লোকজন আবু নাছের (৩৫) এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে হাত-পা ভেঙ্গে দেন। গত বছরের ২৯ মে রাত ১১টার দিকে ঢাকার ধানমন্ডি রেনেসা হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আবু নাছের উপজেলার সেজামূড়া গ্রামের আবু শামার ছেলে এবং আউলিয়া বাজারের ব্যবসায়ী। যুবলীগ নেতা কাউসারও একই গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় লোকজন ও এজহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ মে বিকেলে সেজামূড়া গ্রামে ৬০ থেকে ৬৫ জন স্থানীয় হুমায়ূন কবির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মাদক বিরোধী সভা করেন। পরদিন সকালে নাছিরের দাদি মারা যান। কাফনের কাপড় কিনে ফেরার পথে নজরপুর গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে কাউসারসহ ১২ থেকে ১৪ জন রড শাবল ও কাঠের লাঠি দিয়ে নাছেরকে বেধড়ক পেটানো শুরু করেন। এক পর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে নাছেরকে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যান। গত বছরের ২৪ মে রাতেই নিহতের বাবা আবু শামা কাউসারসহ নয়জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু গত বছরের ২৯মে রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবু নাছির। পরে নিহতের বাবা বাদী আবু শামা বাদী হয়ে কাউসারকে প্রধানসহ ১৭জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। চলতি বছরের গত ২মার্চ কাউসার, তাঁর চাচাতো ভাই আসাদ, পিয়াস, শরীফ নাইম, জয় ও স্থানীয় পিন্টুসহ ১১জনকে আসামী করে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ আদালতের পরিদর্শক দিদারুল আলম বলেন, উপজেলার বিজয়নগরের একটি হত্যা মামলায় কাউসারসহ সাতজন জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শেয়ার করুন

Sorry, no post hare.