,
শিরোনাম:
নাশকতার মামলায় গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাচিপ সভাপতি আবু সাঈদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসক নেতা আবু সাঈদ গ্রেফতার বিএনপির উপর দুর্নাম আসবে এমন কাজ থেকে প্রশাসনকে বিরত থাকতে হবে……কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা শ্যামল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক দুইমন্ত্রী-৮ সাবেক এমপিসহ ২৪০ জনের বিরুদ্ধে নাশকতা ও বিষ্ফোরক মামলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে হাজতির আত্মহত্যা , কারারক্ষী বরখাস্ত। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কার্ডধারিদের মধ্যে টিসিবির পন্য বিক্রয় শুরু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ সেবনে শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিম ও পিঁয়াজের আড়তে ট্রাস্কফোর্সের অভিযানে দুই দোকানীকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দোয়া বিজয়নগরের ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

সকলের প্রিয় মানুষটিকে হাসপাতালে আর দেখা যাবে না চিকিৎসা দিতে। 

IMG 20210531 174433
খবর সারাদিন রিপোর্ট : দীর্ঘ ৩২ বছরের চাকরি জীবন শেষে অবসরজনিত কারনে বিদায় নিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন।

সোমবার দুপুরে হাসপাতালের শহীদ ডা. সভাকক্ষে আনুষ্ঠানিক বিদায় দেওয়া হয়। পরে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. রানা নুরুস শামস এর সভাপতিত্বে ও মেডিক্যাল অফিসার ডা. ফাইজুর রহমান ফায়েজের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. আবু সাঈদ।
একজন সৎ ও ন্যায়বান হিসেবে সকলেই শওকত হোসেনকে চিনেন। চাকরি জীবনে তিনি কোনো অন্যায় কিংবা উৎকোচ নেননি। চাকরি জীবনের শেষ দিকে এসে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করতে হয়েছে। ওই সময় তিনি প্রতিদিন পিপিই পড়ে হাসপাতালে এসে ডিউটি করেছেন। সবাইকে যার যার দায়িত্ব পালনে কঠোর ছিলেন।
মো. শওকত হোসেন ১৯৮৯ সালের ২০ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিকেল অফিসার হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালেও মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে সরাইল ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন।
সেখান থেকে ২০১৭ সালে খাগড়াছড়িতে সিভিল সার্জন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালে উপ-পরিচালক পদে পদোন্নতি হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে আসে। ওই কর্মস্থল থেকেই তিনি অবসরে গেছেন।
সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে চাকরি করেও অসংখ্য সুযোগ থাকলেও তিনি নীতিহারা হননি। কোনো অতিরিক্ত সুবিধা নেননি। যা সেবা নিতে আসা সাধারণ লোকজনের মুখে মুখে।
মো. শওকত হোসেন ১৯৬২ সালের ১ জুন সদর উপজেলার কাছাইট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
ব্যক্তিজীবনে তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক।
তার সহধর্মিণী রাহিমা আক্তার। তিনি প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক। তাঁর বড় ছেলে ডা. তাহমিদ তাজুয়ার তুর্য। সে ইন্টার্নি করছেন। তার মেয়ে তাহসিন তাবাসসুম ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোবায়োজলজি বিভাগে অধ্যয়নরত।
হাসপাতালের চিকিৎসক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী, নার্সিং সুপারভাইজারসহ সিনিয়র স্টাফ নার্স ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী, বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ ডা. শওকত হোসেনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বিদায় জানান।
অবশেষে অবসরপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়কের হাতে ডা. আবু সাঈদ বিদায়ী সংবর্ধনা ক্রেস্ট তুলে দেন।
বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে ডা. শওকত হোসেন নতুন ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে ডা. ফখরুল আলম আশেককে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
শেয়ার করুন

Sorry, no post hare.