এমন দিনে কি লিখতে মন চাই?
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি, যে দিকে যতদূর দৃষ্টি যায় সমগ্র আকাশ বর্ষায় ভরে গেছে। মাথার উপর থেকে অবিরাম বৃষ্টির ধারা পড়ছে। বৃষ্টির ধারার একটানা রিমঝিম আওয়াজ ভেসে আসছে কানে। বৃষ্টির এই আওয়াজ মনে অন্য রকম অনুভূতি জাগায়। বৃষ্টিতে ভেজার লোভ সামলানো দায়। এমন দিনে মানুষ যে অন্যমনস্ক হয় তার কারণ বর্ষার অপরূপ সৌন্দর্য।
মাঝে মাঝে খামখেয়ালি বাতাস নিজের খুশিমতো আসে আর যায়। একবার এসে সবকিছু ছোঁয়ে যায়, আবার চলে যায়। তার ছোঁয়া মানব মনকে কতটা প্রশান্তি দেয় সেটা সে জানে। কারণ সে কিছু সময় স্তির থেকে যখন পালিয়ে যাই, তখন আমরা ব্যতিব্যস্থ হয়ে পড়ি তার ছোঁয়া পেতে। আর এটা জেনেই সে আমাদের সাথে লুকোচুরি খেলে।
নদীমাতৃক এই দেশে বর্ষা ঋতু অত্যন্ত পরিচিত। অবিরাম বৃষ্টিতে নদী-খাল, হাওর বাঁওড়, পুকুর ডোবা চারদিকে বর্ষার পানির ভরাযৌবন। এই সময়টায় প্রকৃতিকে একটু বেশিই ভালো বাসতে ইচ্ছে করে। এই বর্ষা ঋতুটা মনকে খুবই আবেগী করে তুলে।
মনের ভিতর এই মূহুর্তে আমার কোনো চিন্তাভাবনা নেই। আছে শুধু এমন একটা অনুভূতি যার কোনো স্পষ্ট রূপ নেই, যার কোনো নির্দষ্ট নাম নেই।
মনের এমন এলোমেলো অবস্থায় কী লেখা যায়???
যদি কিছু লেখা যাই তবে তা হলো কবিতা, কিন্তু কবিতা লেখায় আমি যথেষ্ট কাঁচা। তাই বর্ষার অনুভূতিটা আমি আমার মতো করেই কিছু অগোছালো লেখায় প্রকাশ করছি। বর্ষার নতুন পানিতে মাছ ধরার আনন্দটা সীমাহীন। তিতাসের বুকে নৌকা ভাসিয়ে দিগন্তে দু’হাত মেলে ধরে আকাশের দিকে তাকিয়ে তার সৌন্দর্য দেখার যে অনুভূতি তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। মানুষ তার অনুভূতির পুরোটা কখনোই প্রকাশ করতে পারে না। আজ আমার মনের ভিতর দিয়ে যেসব কথা আনাগোনা করছে সেসব এতই এলোমেলো যে, আমি কিছুতেই কিছু গুছিয়ে প্রকাশ করতে পারছি না। সকলের মনের দুঃখ বেদনা, বিষাদ, ক্লান্তি, হতাশা বর্ষার পানিতে যেন ধোয়ে মুছে যায়। ভালোবাসার ঋতু বর্ষা তার সবকিছুই উপভোগ্য।