খবর সারাদিন রিপোর্ট : জীবনের প্রথম একুশে বইমেলায় গেলাম আজ। হুট করেই মেলায় যাওয়ার আগের রাতে মনে প্রবল ইচ্ছে জাগলো বই মেলায় যাওয়ার। ছোট ভাইকে ইচ্ছে জানালে সে সাথে সাথে আমার ইচ্ছে পূরণে রাজি হয়ে যায়। যেই ভাবনা সেই কাজ। পরদিন সকালে রওনা দিলাম তিতাস ট্রেনে। ঢাকা পৌঁছার ঘন্টা তিনেক পর মেলায় ঢুকতে হয়েছিল। কারণ ঐদিন ৩টা থেকে মেলায় প্রবেশ করার সময় ছিল। এ সময়টা কাটালাম ভাইবোন দু’জনে রমনাপার্কে বসে। আর বারবার ঘুড়ি দেখছিলাম বিকাল ৩টা কখন বাজবে! অবশ্য বইমেলায় আসার জন্যই আমার এবারের ঢাকায় আসা। বিকেলে বই মেলায় গেলাম ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে। মেলার গেট দিয়ে ঢুকার পরই আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। এত মানুষ বই মেলায় আসে আগে জানা ছিল না। মেলায় বইয়ের দোকানের সাজসজ্জা আর এত এত বই প্রথমবার একসাথে দেখে আমি দ্বিতীয়বার অবাক হলাম। দৃষ্টিনন্দন সব দোকানে সাজানো হাজার হাজার বই। প্রথমই পুরো মেলা ঘুরে দেখলাম। একসাথে এত বাহারি বই দেখেই মনে অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করছে। বই কেনার জন্য মানুষের এত আগ্রহ, এত ভিড় উপভোগ করে আমি গেলাম পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স এর স্টলে। হুমায়ূন আহমেদের “হলুদ হিমু কালো র্যাব” বইটি কিনলাম দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে। ছোট ভাইয়ের জন্য কিনলাম তার পছন্দ করা একটা উপন্যাস। তারপর একে একে বিভিন্ন স্টল ঘুরে নেপোলিয়ন হিল এর “থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ” যার অনুবাদক নেসার আমিন বইটা কিনলাম।তারপর নিলাম ডেল কার্নেগীর মোটিভেশনাল বই “দুশ্চিন্তাহীন নতুন জীবন ” এবং মঞ্জুর রহমান শান্তর একটি বই “অনেক ফুল গোপনে ঝড়ে।” খুব ইচ্ছে ছিল কোন লেখকের সাথে যদি দেখা হত! কিন্তু এ ইচ্ছেটা পূরণ হয় নি। বইয়ের স্টল এবং মেলার অনেক ছবি তুলেছি। মেলা থেকে বের হতে ইচ্ছে করছিল না। পুরো মেলাটি যেন আমার চোখের সামনে ছবির মতো ফুটে উঠছে। পাঞ্জেরী,অন্য প্রকাশ, সময় প্রকাশনী,গুরুগৃহ প্রকাশনীর স্টলগুলোর শৈল্পিক সৌন্দর্য আমার চোখের সামনে এখনো ভাসছে। কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের বিলবোর্ডে একটা ছবি তুলেছিলাম পাঞ্জেরী প্রকাশনীর স্টলটায় সাজানো কিছু ছবি সমগ্র থেকে। বারবার শুধু সাহিত্যিকের ছবি, মেলায় তোলা ছবিগুলো দেখছি। বাসায় সবাই ঘুমাচ্ছে। ছোট ভাইয়াটা ঘন্টা খানেক ধরে তার উপন্যাসটা পড়ে যাচ্ছে। আমি ডায়েরি লিখছি। এখন হাতে বই নেবো। ঘুম না আসা পর্যন্ত পড়তে থাকবো।
শেয়ার করুন