খবর সারাদিন রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের মেঘনা নদীর তীরে কৃষি জমিতে ইজারা বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় ৪টি গ্রামের এলাকাবাসী এই মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হাজী মোঃ ফারুক মিয়া, হাজী মোঃ মিদন মিয়া, সাদেক মিয়া, জামাল সরদার, হাজী মোঃ বাহাউদ্দীন মিয়া, মোয়াজ্জেম হোসেন, আব্দুল্লাহ মিয়া, মাসুদ মিয়া, সালাহ উদ্দিনসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে এলাকাবাসী জানান, আশুগঞ্জ নদী বন্দরের অধীনে পাওয়ার স্টেশন এলাকা থেকে কালাসুতা খাল পর্যন্ত ৪কিলোমিটার পর্যন্ত নদীর তীরের কৃষি জমিতে চলতি বছরের ৩০আগস্ট থেকে আগামী ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ১০ মাসের জন্য ২লক্ষ ৫২ হাজার টাকায় ইজারা পেয়েছেন মোঃ মহিউদ্দিন মোল্লাকে। ইজারা দেয়ার স্থানের মধ্যে রয়েছে আশুগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের সোহাগপুর, বাহাদুরপুর, দূর্গাপুর ও তাজপুর এই ৪টি গ্রাম। ইজারা দেয়ার স্থানের অধিকাংশই কৃষি জমি। এছাড়া নেই কোন পল্টুন ও সড়ক। ইজারা দেয়ার পর থেকে ইজারাদার মহিউদ্দিন মোল্লা স্থানীয়দের কাছ থেকে জোর পূর্বক চাপ দিয়ে ইচ্ছে মতো ইজারা আদায় করছে। এতে করে প্রতিদিনই স্থানীয়দের সাথে ইজারাদারের কথাকাটাকাটি হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে স্থানীয়রা। এতে করে টাকা উত্তোলন নিয়ে ইজারাদার ও এলাকাবাসীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হচ্ছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
দূর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাদেক মিয়া বলেন, ভৈরব-আশুগঞ্জ নদী বন্দরের বন্দর কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক মোঃ শহীদ উল্যাহর যোগসাজসে মোটা অঙ্কে ঘুষে নিয়ে এই ইজারা দিয়েছে। এতে করে আমরা ৪টি গ্রামের হাজার হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তাই কৃষকদের বাচাঁতে অবিলম্বে এই ইজারা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
হাজী মোঃ ফারুক মিয়া বলেন, স্থানীয়রা বাধার মুখে বিপুল অঙ্কের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে ইজারা দিয়েছে। ইজারা নেয়ার পর থেকে স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছ থেকে চাপ প্রয়োগ করে ইজারার টাকা নিচ্ছে। এতে করে ইজারাদারের সাথে এলাকাবাসীর মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনার ঘটতে পারে। তাই দ্রুত এই ইজারা বাতিলের দাবি জানচ্ছি। আর না হলে খুন খারামি হলে এর দায় নিতে হবে মোঃ শহীদ উল্যাহর। বিআইডব্লিউটিএর উপ পরিচালক মোঃ শহীদ উল্যাহ জানান, নিয়ম মেনেই ইজারা দেয়া হয়েছে। এখানে আর্থিক লেনদেনের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে ইজারাদার শর্ত না মানলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইজারাদার মহিউদ্দিন মোল্লার বড় ভাই ইমরান মোল্লা জানান, নিয়ম মেনে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে আমরা ইজারা পেয়িছি। তবে বিআইডব্লিউটিএর নির্দেশনা অনুযায়ী আমার ইজারার টাকা উত্তোলন করছি। আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরবিন্দ বিশ^াস জানান, ইতিমধ্যে বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শেয়ার করুন