খবর সারাদিন রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ৫৫ বছরের বৃদ্ধের দ্বারা পাঁচ বছরের কন্যা শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রবিবার রাতে মেয়েটিকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং রাতেই ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়েটির মা বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। রবিবার বিকেলে উপজেলার সোহাগপুর এলাকার পশ্চিমপাড়া তাজুল ইসলামের বাড়িতে এই ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম উপজেলা দুর্গাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়া এলাকার মৃত আব্দুল জলিল মিয়ার ছেলে। সে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বলে ও জানা গেছে। ঘটনার পর থক অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। শিশুটির মা জানান, রবিবার সকালে তার মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলেকে দখার জন্য তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া যান। বিকেলে বাড়িতে ফিরে তিনি তার মেয়েকে বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখেন। পরে তাকে গোসল করানোর জন্য নিয়ে গেলে সেখানে তিনি তার মেয়ের কাছে কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা জানতে চান। এ সময় তিনি মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারেন পাশের বাড়ির দাদা তাজুল ইসলাম শিশুটিকে ১০ টাকা দিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এবং বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাধে তাজুল ইসলাম ঘরের দরজা বন্ধ করে বাচ্চাটির উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। পরে ঘটনাটি জানতে পেরে শিশুটির মা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে আশুগঞ্জ থানায় নিয়ে গেলে পুলিশ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠায়। আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজাদ রহমান জানান, মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানা হয়েছে। মেয়েটির মা বাদী হয়ে তাজুল ইসলামকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। আসামি তাজুল ইসলামকে গ্রেফতারের চষ্টা চলছে।
শেয়ার করুন