খবর সারাদিন রিপোর্ট : অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় ভুগছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। এতে সরকার প্রতিমাসে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। অন্যদিকে পদে পদে শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। অথচ তা দেখার কেউ নেই। মনগড়া মত চলছে প্রতিষ্ঠানটি।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ১৯৮১ সালে ভাড়া করা বাসায় শহরের জেল রোডে নার্সিং ট্রেনিং ইন্সস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে সদর হাসপাতাল কম্পাউন্ডে তা স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে এই ট্রেনিং ইন্সস্টিটিউটে ১শ ৭৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে ১৩ ছাত্র এবং অন্যান্যরা ছাত্রী। বিশাল এই ইন্সস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টরদের জন্য রয়েছে ৪টি কোয়ার্টার। এর মধ্যে ১টি গেস্ট রুম ও বাকি ৪টি ইনস্ট্রাক্টরদের কোয়ার্টার। অথচ দুটি কোয়ার্টারে থাকে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী এবং অন্য দুটিতে ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী। এর একটিতে দারওয়ান ও অন্যটিতে টেবিল বয় থাকে। অথচ সেখানে থাকার কথা ইনস্ট্রাক্টর ও ইনচার্জের। তবে সেখানে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে ইনস্ট্রাক্টরদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। বাধ্য করা হচ্ছে ক্যম্পাসের বাইরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে। এনিয়ে তাদের মধ্যেও ক্ষোভ রয়েছে। এদিকে ট্রেনিং ইনস্ট্রাক্টর তার জন্য বরাদ্দকৃত কোয়ার্টারে থাকার কথা থাকলেও তিনি গেস্ট রুমেই আবাসস্থল গড়ে তুলছেন। এতে সময়ে সময়ে গেস্ট রুমে অতিথি এসে বিড়ম্বনায় পড়ছেন। বছরের পর বছর ধরে কোয়ার্টারে এ ধরণের অবস্থার ফলে সরকার প্রতিমাসে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময়েও জনপ্রতি অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার অভিযোগ রয়েছে। নার্সিং ইন্সস্টিটিউটের সংস্কার কাজে অন্তত দেড়কোটি টাকা খরচ করা হলেও কাজের মান ও চাহিদা মোতাবেক কাজ হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ট্রেনিং ইনস্ট্রাক্টর আমার কাছে ব্যাক ডেইটে বাসা বরাদ্দের আবেদন চেয়েছেন। আমি বরাদ্দ দিয়েছি।
শেয়ার করুন