জুয়েল মিয়া, আখাউড়া(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধিঃ নানা অপচেষ্টার পর অবশেষে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে রক্ষা পেয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভার তারাগন গ্রামের অনেক পুরনো একটি পুকুর।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব রুমানা আক্তার অভিযান চালিয়ে পুকুরটির ভরাট কাজ বন্ধ করে মালিকদের কাছ থেকে মুচলেকা নেন।
খবর নিয়ে জানা যায়,তারাগন পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা সাফা মিয়া ও সুমন মিয়ার পুকুরটি আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় নিলামসূত্রে রিপন মিয়াজী নামে একজন ব্যবসায়ী মালিক হয়। পুকুরটি ক্রয় করার পর একদল অসাধু সিন্ডিকেট নিয়ে মাটি ভরাট করে প্লট আকারে বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেয় রিপন মিয়াজী। সে অনুযায়ী গত সোমবার সকাল থেকে স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ীরা ট্রাক্টর দিয়ে মাটি বোঝাই করে পুকুরটি ভরাট করা শুরু করে।এই পুকুরটি ছাড়াও আরও কয়েকটি পুকুর ভরাট করার পায়তারা চালাচ্ছে বলেও জানা যায়।
স্থানীয় লোকজন জানান,দুই একরের চেয়ে বেশি জায়গায় অবস্থিত পুকুরটি যুগ যুগ ধরে আমরা নানা কাজে ব্যবহার করে আসছি।আশেপাশের এলাকায় অগ্নিকাণ্ড হলে ফায়ার বিগ্রেড এ পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করে। সারাবছর একক এবং যৌথ উদ্যোগে পুকুরটিতে প্রচুর পরিমাণ মাছ চাষ করা হয়। পুকুরের আশেপাশের লোকজন গোসল করার কাজে ও এটা ব্যবহার করে।জলাধার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, কোনো পুকুর-জলাশয়, নদী-খাল ইত্যাদি ভরাট করা বেআইনি।কিন্তু সেই আইনের কোন তোয়াক্কা করেনি তারা।
এবিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব রুমানা আক্তার জানান, সরকারী আইন অমান্য করে পুকুর ভরাটের খবর পেয়েছি। পরে অভিযান চালিয়ে ভরাট কাজ বন্ধ করা হয়েছে। পুকুরের মালিকদের নিষেধ করে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।