খবর সারাদিন রিপোর্টঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিন দিন বাড়ছে সবজির দাম। ক্রমেই চলে যাচ্ছে তা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। ফলে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষসহ নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন।
তবে ব্যবসায়ীরা যাতে কোন ধরনের অনিয়ম না করতে পারে সেজন্য বাজারগুলোতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।
সরজমিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আনন্দ বাজার ও ফারুকী বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন ৬০টাকা কেজি, আলু ২৫ টাকা কেজি, শসা দেশী ৭০ টাকা কেজি, শসা হাইব্রীড ৬০টাকা কেজি, টমেটো ১০০টাকা কেজি, সীম ১২০টাকা কেজি, ঢেড়শ ৪০ টাকা কেজি, পেঁপে ২০টাকা কেজি, পটল ৪০ টাকা কেজি, জিঙ্গা ৭০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা-৫০ টাকা কেজি, বরবটি ৬০ টাকা কেজি, লাউ প্রতিটি ৫০/৬০ টাকা, কাচা মরিচ ১০০ টাকা কেজি, করলা ৬০টাকা কেজি, মুখী ৫০ টাকা কেজি, ধন্না পাতা ১৪০ টাকা কেজি, কাকরল ৫০ টাকা কেজি, মিস্টি কুমড়া ৫০ টাকা কেজি, চাল কুমড়া মধ্যম সাইজ প্রতিটি ৩০ টাকা, লেবু ১ হালি ২০/২৫ টাকা, পুঁইশাক ১ কেজি ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আনন্দ বাজারের সবজি ব্যবসায়ী ফখরুল মিয়া বলেন, বর্তমানে বাজারে সব ধরনের সবজির দামই একটু বেড়েছে। তিনি বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম বেড়েছে। তবে দাম আস্তে আস্তে কমে যাবে।
ফারুকি বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মুছলেম মিয়া বলেন, বাজারে সবজির দামতো আর সব সময় এক ধরনের থাকেনা। বর্তমানে সবজির দাম একটু বেশী। তিনি বলেন, সরবহরাহ কম থাকায় দাম একটু বেড়েছে।
এ ব্যাপারে শহরের পশ্চিম মেড্ডার বাসিন্দা মোঃ আজহার মিয়া বলেন, ভাই সবজির দাম আকাশ চুম্বি। আগে ৩শত টাকা হলে যে সবজি কিনতে পারতাম সেই সবজি কিনতে এখন ৪০০/৪৫০ টাকা লাগে। আমরা সবজি কিনতে গিয়ে ভ্যাবাচেকা খেয়ে যাই।
পৌর এলাকার দক্ষিণ মৌড়াইলের বাসিন্দা মোঃ জাফর আলী বলেন, ভাই আমরা কষ্টে আছি। সামান্য রোজগারে পরিবারের ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছি। সব জিনিসপত্রের সাথে পাল্লা দিয়ে বাজারে সবজির দামও বেড়েছে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়ামিন হোসেন বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য আমরা সব সময় বাজারগুলোতে মনিটরিং করছি।