খবর সারাদিন রিপোর্টঃ আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য জেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা।
গতকাল সোমবার সকালে নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম তাঁর কার্যালয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চেয়ারম্যান, সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে মোট ৫৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২জন, ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৪৩জন এবং ৩টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের সদস্য পদে ১৩জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
গতকাল সোমবার সকালে নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম তাঁর কার্যালয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চেয়ারম্যান, সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে মোট ৫৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২জন, ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৪৩জন এবং ৩টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের সদস্য পদে ১৩জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার (আনারস প্রতিক) ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল আলম মোটর সাইকেল প্রতিক) নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ।
নির্বাচনে সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে (নাসিরনগর, সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪জন, সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ডে (ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, বিজয়নগর ও কসবা উপজেলা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫জন ও সংরক্ষিত ৩নং ওয়ার্ডে (আখাউড়া, নবীনগর ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪জন প্রার্থী।
নির্বাচনে সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে (নাসিরনগর, সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪জন, সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ডে (ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, বিজয়নগর ও কসবা উপজেলা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫জন ও সংরক্ষিত ৩নং ওয়ার্ডে (আখাউড়া, নবীনগর ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪জন প্রার্থী।
১ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে (নাসিরনগর উপজেলা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬জন, ২নং সাধারণ ওয়ার্ডে (সরাইল উপজেলা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬জন, ৩ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে (আশুগঞ্জ উপজেলা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪জন, ৪ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে (ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫জন, ৫ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে (বিজয়নগর উপজেলা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫জন, ৬ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে (আখাউড়া) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫জন, ৭ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে (কসবা উপজেলা) প্রতিদ্ব্দ্বতা করছেন ৩জন, ৮ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে (নবীনগর উপজেলা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫জন ও ৯ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে (বাঞ্ছারামপুর উপজেলা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪জন প্রার্থী।
সোমবার প্রতীক বরাদ্দের পর পরই প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন।
নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আল-মামুন সরকার একজন হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত। দলের তৃনমূল পর্যায় থেকে তিনি উঠে এসেছেন। আল-মামুন সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান।
নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আল-মামুন সরকার একজন হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত। দলের তৃনমূল পর্যায় থেকে তিনি উঠে এসেছেন। আল-মামুন সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের ভিপি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষকলীগের আহবায়ক ছিলেন। তিনি সমাজসেবায় রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আনারস প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল আলম গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ এ.কে.এম এমদাদুল বারীকে (বর্তমানে প্রয়াত) হারিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। মেয়াদ শেষে তিনি পুনরায় জেলা পরিষদের প্রশাসক নিযুক্ত হন।
বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল আলম গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ এ.কে.এম এমদাদুল বারীকে (বর্তমানে প্রয়াত) হারিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। মেয়াদ শেষে তিনি পুনরায় জেলা পরিষদের প্রশাসক নিযুক্ত হন।
শফিকুল আলম আগামী নির্বাচনেও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মোটর সাইকেল প্রতিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে হারিয়ে জয়লাভ করায় তিনি বেশ চাঙ্গা। শফিকুল আলম জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। তবে ২০১৪ সালের পর থেকে দলে তার কোন পদ পদবী নেই।
এ ব্যাপারে বিদ্রোহী প্রার্থী শফিকুল আলম বলেন, প্রতিপক্ষ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করার পায়তারা করছে। তিনি বলেন, আমি চাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে যেন নির্বাচন হয়। নির্বাচন নিয়ে যাতে কেউ কোন ধরনের প্রশ্ন তুলতে না পারে।
বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে হারিয়ে জয়লাভ করায় তিনি বেশ চাঙ্গা। শফিকুল আলম জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। তবে ২০১৪ সালের পর থেকে দলে তার কোন পদ পদবী নেই।
এ ব্যাপারে বিদ্রোহী প্রার্থী শফিকুল আলম বলেন, প্রতিপক্ষ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করার পায়তারা করছে। তিনি বলেন, আমি চাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে যেন নির্বাচন হয়। নির্বাচন নিয়ে যাতে কেউ কোন ধরনের প্রশ্ন তুলতে না পারে।
তিনি বলেন, আমাকে বিদ্রোহী প্রার্থী বলা উচিত নয়, কারন ২০১৪ সালের পর থেকে দলে আমার কোন পদ পদবী নেই। আমি জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলাম। তিনি বলেন, গত নির্বাচনেও আমি দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছিলাম। এবারও ইনশাল্লাহ জিতব।
এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দলীয় প্রধান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার প্রতি যে আস্থা রেখেছেন আমি নির্বাচিত হলে রাজনীতি ও সমাজসেবায় প্রধানমন্ত্রীর আস্থার প্রতিফলন ঘটাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।
তিনি বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীর কোন জনভিত্তি নেই। তার কাছে কালো টাকা আছে। কালো টাকা দিয়ে তিনি ভোট কিনতে চাইবেন। এটাই তার পুঁজি।
তিনি বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীর কোন জনভিত্তি নেই। তার কাছে কালো টাকা আছে। কালো টাকা দিয়ে তিনি ভোট কিনতে চাইবেন। এটাই তার পুঁজি।
শেয়ার করুন