,
শিরোনাম:
আখাউড়ায় অপহরণকারির কাছ থেকে শিশু উদ্ধার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাংচুর জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের সরাইলে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ২ \ আটক -৪ স্বৈরাচারের মাথা পালিয়ে গেছে কিন্তু অবশিষ্ট অংশ মাথাচাড়া দিয়ে দেশের দখল নেয়ার চেষ্টা করছে… ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সে তারেক রহমান….. ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন ও সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা.. ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিসিবির পণ্য বিক্রয় উদ্বোধন জেলা বিএনপির সম্মেলন বাতিলের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একাংশের জুতা মিছিল নাসিরনগরে আইন-শৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত সরাইলে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন ব্রাহ্মণবাড়িযায় রেল যাত্রীদের দুর্ভোগ, বিকল্প সড়ক পথে ছুটছেন যাত্রীরা

সোশ্যাল মিডিয়া একটি সাজানো দোকান……শামীমা চম্পা

champa
প্রযুক্তির যুগে আমাদের সবাইকে ডিজিটালাইজেশনে আসতে হয়। আর এ আসা যাওয়া যেন বিরামহীন। ডিজিটাল জীবন উপভোগ করতে গিয়ে নিজেদের মূল্যবান কিছু হারিয়ে ফেলছি না তো? আমাদের হাতে যে স্মার্টফোনটা আছে, কেউ যদি বলে আগামী এক সপ্তাহ এর থেকে নিজেকে দূরে রাখো আমরা কি এতে রাজি হতে পারবো? মনে হবে এক সপ্তাহ না খেয়ে থাকতে পারবো তবুও ফোন হাতছাড়া করতে পারবো না। ফোনটা আমাদের নিত্য দিনের সঙ্গী। একজন বাস্তব সঙ্গীর চেয়েও যেন এর গুরুত্ব বেশি। ফোনটা হাতে না থাকলে সবকিছু খালি খালি লাগে। কোথায় যেন এক বিশাল শূন্যতা কাজ করে। আমরা এতটাই আসক্ত এ ফোনের প্রতি। সকালবেলা ঘুম ভাঙার পরই ফোনটার কথা সবার আগে মনে আসে এবং বিছানায় থাকাবস্হাতেই আমরা ফেইসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম স্ক্রল করতে থাকি। এ যেন এক মধুর নেশা। এ নেশায় ডুব দিলে আর ভাসতে মন চাই না। আর এর এলগরিদম এমনভাবে সাজানো যে এর থেকে উঠতে চাইলে মনে হয় পায়ে শিকল বেঁধে আটকে রাখে। অথচ যারা এই জাদুকরী প্রযুক্তি দিয়ে দুনিয়ার কোটি কোটি মানুষকে মোবাইলের স্ক্রিনে বিরামহীন আটকে রাখে, তারা নিজেরা এ প্রযুক্তিতে কতটা আটকে আছে। জানা যায়, অ্যাপল ব্রান্ডের সিইও স্টিভ জবস্ তার পরিবারের সদস্যদের আইপ্যাড ব্যবহারের ক্ষেত্রে কখনোই স্বাধীনতা দেন না।এটি ব্যবহারে একটা নির্দিষ্ট সময় রাখা হয়েছে। এমনকি রাতে খাওয়ার টেবিলে কোনো প্রকার ডিভাইস হাতে থাকতে পারবে না বলেও নির্দেশ দেওয়া আছে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার দু’ঘন্টা আগে সকল প্রকার ডিভাইস থেকে দূরে থাকতে হবে। অথচ আমরা ঠিক উল্টো কাজটা করি প্রতিনিয়ত। রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় না আসলে যেন ঘুমই আসবে না। কি কি ঘটে গেল তা না দেখলে কি করে হবে, মনে হবে আমি কিছু না জানা থেকে পিছিয়ে পড়লাম। আমাদের মানসিক অবস্থাটা এখন এরকম। গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই-ও তার পরিবারের কাউকে টেলিভিশন ও ডিভাইস ব্যবহারে অবাধ স্বাধীনতা দেন নি। মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের বেলায়ও একই কথা। ইউটিউবের সিইও, স্ন্যাপ চ্যাটের প্রতিষ্ঠাতা ইভান স্পাইগেলের শিশুদের জন্যও স্ক্রিন টাইম যথেষ্ট সীমিত। যারা এসবের কারিগর তারা কত হিসেব করে স্ক্রিন সময় কাটান। আর আমরা এতে ডুকলে ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যাই খেয়ালই থাকে না। আমরা চাইলে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সময় বাঁচিয়ে বাস্তব জীবনকে আরও প্রফুল্ল করতে পারি। এ সময়টা পরিবারের সাথে কাটাতে পারি। বাবা-মাকে ঘরের কাজে সাহায্য করতে পারি। সপ্তাহে অন্তত দু’টো ভালো বই পড়তে পারি, সময় বের করে একজন আত্মীয়কে দেখতে যেতে পারি, দু’জন ভালো বন্ধুর সাথে খোলা আকাশের নীচে বসে আড্ডা দিতে পারি, নিজের শখের কাজগুলোতে সময় দিতে পারি, কোরআন হাদিসের আলোকে নিজেকে পরিচালনার জন্য আমল করার চেষ্টা করতে পারি। বলছি না তথ্য প্রযুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে, কারণ সোশ্যাল মিডিয়াও এখন জ্ঞান অর্জনের একটি বড় মাধ্যম। শুধু খেয়াল রাখতে হবে প্রয়োজনের তুলনায় যেন অধিক সময় নষ্ট না হয়। একটা দোকানের সবকিছু যেমন আমাদের প্রয়োজন পড়ে না, সোশ্যাল মিডিয়াও তাই। এর সবকিছু আমাদের কাজে আসে না। এখান থেকে নিজের বুঝে যা যা তুলে নেওয়ার তাই তাই তুলে নাও। এর বাইরে আর কিছু না।
শেয়ার করুন

Sorry, no post hare.