,
শিরোনাম:
ব্রাহ্মনবাড়িয়া শিশু নাট্যমের অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূইয়া নাসিরনগরে দু’দিন ব্যাপী বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলন সমাপ্ত বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ বছরে ১৫০ কোটি টাকা মূল্যের মাদক ও মালামাল উদ্ধার \ গ্রেপ্তার-৮৬ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাস্ট মালামাল কেনা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত প্রেমের টানে ইউক্রেনের প্রকিপ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, করলেন বিয়ে ভোটারদের অনুরোধে অধিকতর প্রস্তুতির লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন। কসবায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে অটোচালককে খুন, ১০ দিন পর লাশ উদ্ধার রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির একাংশের সমাবেশ আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত \ সচিবালয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি

লাখ টাকার অপারেশন বিনামূল্যে করলেন ডা. সোলায়মান

IMG 20221123 WA0005
খবর সারাদিন রিপোর্টঃ দীর্ঘদিন যাবত হাড় ভাঙ্গাসহ জটিল রোগে ভুগছেন রাসেল মিয়া (২২)। রাসেল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের পাহাড়পুর হতদরিদ্র পরিবারের সদস্য। টাকার অভাবে সঠিক সময়ে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারেননি। শারীরিক অবস্থার বেশ অবনতি ঘটে। অবশেষে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ট্রমা সার্জন ডা. মো. সোলায়মানের কাছে দারস্থ হলেন।
মানবতার কল্যানে ও হতদরিদ্র রাসেলের কথা ভেবে বিনামূল্যে লাখ টাকার অপারেশন করলেন মানবিক চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ ট্রমা সার্জন ডা. মো. সোলায়মান। অপারেশনের পর জেলা সদর হাসপাতালে প্রায় ৩ দিন ধরে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন ওই যুবক। তার দেখবালও করছেন ওই চিকিৎসক।
ট্রমা সার্জন ডা. মো. সোলায়মান জানান, রাসেল ক্রনিক অস্টিওমায়েলাইটিস রোগে ভুগতেছিল। “ইলিজারভ এক্সটার্নাল ফিক্সেটর” অপারেশনটি খুব ব্যয়বহুল। যার অর্থ যোগাড় করা রাসেলের পক্ষে সম্ভব ছিল না৷ মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে রাসেলের ডান পায়ের অপারেশনটি বিনামূল্যে ট্রমা জেনারেল হাসপাতালে করেছি। অপারেশনের পর রাসেলকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি দিয়েছি। প্রতিদিন সকালে রাউন্ডে গিয়ে রাসেলের খোঁজ খবর নিচ্ছি। এর আগেও ৯০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার কোমড়ের অপারেশন বিনামূল্যে করেছি। অনেক রোগীকে ফ্রিতে চিকিৎসা দিয়েছে। আমি চিকিৎসক হিসেবে অতটুকু দায়বদ্ধতা থাকে।
হতদরিদ্র রাসেল আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, হতদরিদ্র পরিবারে আমার জন্ম। টাকার অভাবে সময় মত পায়ের চিকিৎসা করতে পারেনি। এর আগেও স্যার আমাকে চিকিৎসা দিয়েছিলেন, কিন্তু আমার অবহেলার কারনে সুস্থ হয়নি। শেষমেশ আবার আমি স্যারের কাছে আসি। স্যার টাকা ছাড়ায় আমার ডান পায়ের অপারেশন করে দিলেন। স্যার পাশে না থাকলে লাখ টাকা অপারেশন করার সামর্থ্য আমার হতো না। স্যারের উপকার কোনদিন ভুলবো না। স্যারের জন্য দোয়া করি।
শেয়ার করুন

Sorry, no post hare.