,
শিরোনাম:
১৪৪ ধারা জারির মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিসিবির পণ্য বিক্রয় উদ্বোধন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংঘর্ষের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক দুই মন্ত্রী, চার এমপিসহ ১০৬ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা নাসিরনগর সরকারি কলেজে ছাত্রদলের মতবিনিময় ও লিফলেট বিতরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে কাউন্সিল নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের সংর্ঘষ, আহত অর্ধশত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মামলা বানিজ্য \ কাজ হচ্ছেনা পুলিশের সর্তক বিজ্ঞপ্তিতে \ জনমনে আতঙ্ক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু শিবির ও শীত বস্ত্র বিতরন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন মাদক পাচারকারী গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মা সহ ২ কন্যা সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জিপিএ-৫ পেয়েছে সেই মিরাজ

Brahmanbaria Pic 003 4

খবর সারাদিন রিপোর্টঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বাবার লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিতে যাওয়া মাহিদুল হোসেন খান মিরাজ এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। সোমবার এসএসসির ফল প্রকাশের পর দুপুরে এ তথ্য জানা যায়।
মাহিদুল বাবা মোতাহের হোসেন খান আখাউড়া উপজেলার দেবগ্রামের বাসিন্দা ও আখাউড়া পৌর এলাকার রাধানগরে অবস্থিত গ্রীন ভ্যালি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবসায়ী ছিলেন।

মাহিদুল হোসেন খান মিরাজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। পরিবার আখাউড়া থাকলেও মাহিদুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কাউতলী এলাকার মামার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতো। গত ২১ সেপ্টেম্বর তার বাবা মোতাহের হোসেন খান মারা যান।
জানা গেছে, গত ২১ সেপ্টেম্বর দুপুরে মোতাহের হোসেন খান অসুস্থবোধ করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় দেবগ্রামের নিজ বাড়িতেই তিনি মারা যান।

 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরের দিন ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে আসর নামাজের পর দেবগ্রামের পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যার ছয়টার দিকে দেবগ্রামের কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।

মিরাজের মামা আরিফুল ইসলাম জানান, বাবা মারা যাওয়ার পরপরই গ্রামের বাড়িতে চলে যায় মিরাজ। সারা রাত বাবার লাশের পাশে বসে ছিল। সারা রাতই কান্না করে। সকালে বাবার লাশের কফিন ছুঁয়ে পরীক্ষা দিতে যায়।
মাহিদুল হোসাইন খান বলেন, এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছি। আনন্দ লাগছে। বাবা থাকলে আরো ভালো লাগত। কারণ বাবা আমার ফলাফল ও পড়াশোনা নিয়ে খুব উচ্ছসিত ছিলেন। বড় হয়ে আমি বাবার স্বপ্ন পূরণে প্রকৌশলী হতে চাই।
মাহিদুলের মা তাসলিমা বেগম বলেন, ছেলের ফলাফলে আমি ভীষণ খুশি। ওর বাবা বেঁচে থাকলে তিনিও খুশি হতেন।

 

শেয়ার করুন

Sorry, no post hare.