খবর সারাদিন রিপোর্টঃ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির উদ্যোগে আলোচনা সভা
অনুষ্ঠিত। শুক্রবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির
আহবায়ক মোঃ আব্দুল্লাহ এর সভাপতিত্বে শহরের কাউতলিস্থ নওমি হোটেলের
দ্বিতীয় তলায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়
পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয়
পার্টির আহবায়ক ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্ট এর সদস্য পীরজাদা সৈয়দ
জুবায়ের আহমেদ।
সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব মোঃ মোতাহার হোসেন এর পরিচালনায়
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয়
পার্টির যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল হক শেরিন, মোঃ আবুল কালাম, মোঃ হাসান
সাব্বির, সদস্য সচিব মোঃ আবু কাউছার খাঁন, যুগ্ম সদস্য সচিব এড্যাভোকেট
জাহাঙ্গীর হোসেন, সৈয়দ রুহুল আমিন আহবায়ক পৌর জাতীয় পার্টি, মোঃ সেলিম
মিয়া সদস্য জেলা জাতীয় পার্টি , সদস্য মোশারফ হোসেন, সদস্য মোঃ মেরাজ
মৃধা, সদস্য মাঞ্জু মিয়া, পৌর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব মোঃ মাজেদ আলী,
যুগ্ম আহবায়ক সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির মোঃ মুছা মিয়া, আয়েশা আক্তার
এলএলবি শিক্ষা নবিশ আইনজীবি, মোঃ রাকিব উদ্দিন এলএলবি শিক্ষা নবিশ
আইনজীবি, ছাত্র নেতা মোঃ উজ্জল প্রমূখ। এসময় জেলা ও উপজেলা জাতীয় পার্টি
নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ
ট্রাস্ট এর সদস্য পীরজাদা সৈয়দ জুবায়ের আহমেদ বলেন, লাখো শহীদের
রক্তস্নাত বিজয়ের দিন ১৬ ডিসেম্বর আমাদের দিয়েছে বিশ্ব দরবারে একটি দেশ।
পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ, নিপীড়ন আর দুঃশাসনের কুহেলিকা ভেদ করে ১৯৭১
সালের এই দিনটিতে বিজয়ের প্রভাতী সূর্যের আলোয় ঝিকমিক করে উঠেছিল
বাংলাদেশের শিশির ভেজা নরম মাটি। অবসান হয়েছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর
শোষণ, বঞ্চনা আর নির্যাতনের কৃষ্ণতম অধ্যায়ের। নারী-পুরুষ-শিশু সবার চোখে
ঠাঁই পেয়েছিল সীমাহীন আনন্দের অশ্রু, সঙ্গে এক বুক পবিত্র দেশপ্রেম।
বিজয়ের অনুভূতির ঝিলিক সেদিন যারা দেখেছিলেন তারা ভাগ্যবান। আর তার
চেয়েও ভাগ্যবান যারা এই স্বাধীন দেশে স্বাধীন নাগরিক । ১৬ ডিসেম্বর বাঙালির অনুভূতি সর্বোচ্চ আনন্দের।
এসময় তিনি আরোও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ গ্রহণ
করে গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাসীকে আগামীতে লাঙ্গল
উপহার দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।