আটককৃতরা হলেন, ডাকাত দলের মূলহোতা হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার উরালকুল এলাকার আব্দুর রউফের ছেলে মো. আবুল কালাম (২৬), একই জেলার লাখাই উপজেলার মুরিআগ গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে জসিম উদ্দিন (২৪), একই উপজেলার বামে কাটিয়ারা গ্রামের রতন মিয়ার ছেলে মো. রিপন মিয়া (২১), ফিরোজ মিয়ার ছেলে লাভলু মিয়া (২৩), মৃত হাজী মলয় মিয়ার ছেলে মাহমুদুল হাসান জুয়েল (৩৫) ও নিবারন সরকারের ছেলে সবুজ সরকার (২১)। এসময় উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন ডাকাত পালিয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৯ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মুমিনুল হক জানান, প্রতিবছর ২৬ জানুয়ারি নাসিরনগর চাপড়তলা ইউনিয়নের খান্দুরা গ্রামের সৈয়দ আক্তার হুসাইনের বার্ষিক উরস পালন করা হয়। এ সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ উপস্থিত হন খান্দুরা দরবার শরিফে। গত শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) উরস থেকে ফেরার পথে ভোরে উপজেলার চাপড়তলা-ছাতিয়াইন সড়কের মাঝ অংশের ৬নং ওয়ার্ডের বুড়ইউরি গ্রামে ১৫/১৬ জনের একটি ডাকাত দল প্রায় ৩০টি সিএনজি আটক করে। এসময় ডাকাতরা সবার চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে ডাকাতি করে। ডাকাতিতে বাধা দেওয়া ২০ জনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে তাদের হাতে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় সিএনজি চালক বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
এর প্রেক্ষিতে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) মধ্যরাতে র্যাব প্রযুক্তির সহায়তায় নাসিরনগর ফান্দাউক ইউনিয়নের আতুকুরা বাজার এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ ৬জন ডাকাতকে আটক করে। আটককৃতদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র ছাড়াও ৫টি বাটন মোবাইল ফোন, ৩ টি স্মার্ট টাচ মোবাইল ফোন, নগদ ৬ হাজার ১৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা গত ২৭ জানুয়ারি সংঘটিত ৩০টি সিএনজি চালিত অটো রিকশা ডাকাতির কথা স্বীকার করেছেন। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।